নিজস্ব চিত্র
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলায় কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে সিপিএমের জোট আলোচনা কোন স্তরে হয়েছে! কীসের ভিত্তিতে তারা ‘একতরফা’ প্রার্থী ঘোষণা করল! এমন একাধিক প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেসের চার জেলার সভাপতি। সেই চিঠি একইসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকর্জুন খাড়গে, সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল ও রাহুল গান্ধীকেও (Rahul Gandhi) পাঠিয়েছেন তাঁরা। দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও। আসন রফা নিয়ে দক্ষিণবঙ্গে আরও একাধিক জেলার নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে নানা স্তরে সেসব জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই পাতার সেই চিঠিতে সই করেছেন জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মানস কর মহাপাত্র, দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ, ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যরা। মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আবু হেনার নাম সেই চিঠিতে থাকলেও তাঁর সই নেই। তিনি অসুস্থ। দলের একটি অংশের দাবি, প্রথমটায় হাইকমান্ডকে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানাতে চাইলেও আর চিঠিতে সই করতে চাননি তিনি। আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তাপস মজুমদারও (Tapas Majumdar)।
দমদম কেন্দ্র প্রথমে কংগ্রেস নিতে চাইলেও সিপিএম এই আসনকে তাদের ‘ঐতিহ্যের আসন’ বলে ছাড়তে চায়নি। প্রদীপ প্রসাদের কথায়, “আমাদের দলের নির্বাচনী কমিটি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করলেও জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। প্রদেশ সভাপতিও বলেছেন কোন হিসাবে সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করল তা তাঁর অজানা। অর্থাৎ সিপিএম একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা উল্লেখ করে। এই অধিকার তাদের কে দিল? সেই কারণেই আমরা হাইকমান্ডকে চিঠি লিখেছি।”
উল্লেখ্য, সিপিএম (CPIM) এমন বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে যে আসনগুলিতে কংগ্রেসেরও দাবি রয়েছে। কংগ্রেসের একাংশের অভিযোগ, দক্ষিণবঙ্গের আসনগুলি বামফ্রন্ট নিজেদের মতো করে সাজিয়ে উত্তরবঙ্গের আসনগুলি ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেসকে। এমনকী, বরাবর দক্ষিণ কলকাতা আসনে কংগ্রেস লড়লেও সেই আসনে এবার সিপিএম আগে থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাম কংগ্রেস জোট হলেও দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেসের কর্মী-নেতাদের এই ক্ষোভের জেরে সেই জোট কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই সমস্যার কথা উল্লেখ করেই হাইকমান্ডকে তাতে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে এই কয়েকটি জেলার নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.