Advertisement
Advertisement

ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সহাবস্থানের পাঠ শেখাচ্ছে ‘জ্বলন্ত’ বাগরি

কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, পাশে থাকা শেখাল বাগরি৷

Locals feed rescue workers in Bagri market
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 17, 2018 12:41 pm
  • Updated:September 17, 2018 8:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এরা হিন্দু, ওরা মুসলমান৷ জাতপাত নিয়ে রাজনৈতিক তরজা কম চলছে না৷ ভোটবাক্সের শক্তি বাড়াতে ধর্মীয় মেরুকরণকে হাতিয়ার করেছেন অনেকেই৷ কিন্তু বাগরি মার্কেটের লেলিহান শিখাই পুড়িয়ে দিল জাতপাতের সংকীর্ণতা৷ বুঝিয়ে দিল, এ শহর এখনও ভোলেনি মানবিকতা,  হারিয়ে যায়নি  মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিকতা৷ বাগরি মার্কেটের আগুনের রেশ ধরেই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তাকেই সামনে আনলেন নাখোদা মসজিদ ও হিন্দু প্রতিষ্ঠান আরহাম যুব সেবা গ্রুপের  সদস্যরা৷  

[ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছে টিয়া, খাঁচা খুলে সাধের পাখি উড়িয়ে দিলেন সিংজি]

পুজোর হাতে বাকি মাত্র কটা দিন৷ তার আগে সপ্তাহান্তে শনিবার রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে গমগম করছিল বাগরি মার্কেট৷ ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ হিন্দু, তো কেউ মুসলিম, কেউ আবার জৈন, আবার কেউ শিখ। পুজো আসলেই, দু’পয়সা বেশি উপার্জনের আশায় মন আনন্দে ভরে ওঠে তাঁদের৷ তাই কেউ মহাজনের থেকে টাকা ধার নিয়ে, আবার কেউ সঞ্চিত টাকা দিয়ে সাজিয়েছিল ব্যবসা৷ কিন্তু রবিবার ভোররাতটা ছিল একেবারে অন্যরকম৷ ওইদিন থেকেই জ্বলছে বাগরি মার্কেট৷ আগুনের লেলিহান শিখা উসকে দিয়েছে নন্দরাম মার্কেট ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার স্মৃতি৷ আগুনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ জতুগৃহ হয়ে গিয়েছে ব্যবসাক্ষেত্র৷ এই সময় মাথার ঠিক পারছেন না কেউই৷ রাতভর আগুন নেভাতে সচেষ্ট দমকল কর্মীরা। কিন্তু, আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন। তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কী হবে? তাই তাঁদের কেউ দিচ্ছেন জল৷ কেউ বা ব্যবস্থা করছেন চায়ের৷ আবার কেউ আগুনের সঙ্গে যুদ্ধকারীদের মুখের কাছে ধরেছেন রাতের খাবার৷  

Advertisement

[রুজি রোজগার কেড়ে নিল আগুন, মাথায় হাত মুটে-ভ্যানচালকদের]

বিপদ ধর্ম বোঝে না৷ কে হিন্দু, কে মুসলমান তা জানে না বিপদ৷ দোকান পুড়েছে সবার। ক্ষতি হয়েছে সবার। জাত-ধর্ম বিচার হয়নি। তাই, ওঁরাও জাত-ধর্ম বিচার করতে চান না। বিপদের দিনে তাই তো আগুনের বিপরীতে যুদ্ধকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সকলেই৷ হিন্দু প্রতিষ্ঠান আরহাম যুব সেবা গ্রুপের সদস্যরা দমকল কর্মী, বিপদগ্রস্ত ব্যবসায়ী সকলের মুখের সামনে এগিয়ে দেন চা ও জল৷  আবার রাতে নাখোদা মসজিদের সদস্যরা দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মুখে সামনে এগিয়ে দেন পোলাও৷ এই দৃশ্য দেখে অনেকেই বলছেন, সত্যিই সহাবস্থানের পাঠ শেখাচ্ছে আগুনের গ্রাসে থাকা বাগরিও।

ছবি: আশুতোষ পাত্র

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement