কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: প্রকৃত অর্থেই জনপ্রতিনিধি তিনি। মানুষের জন্য কাজ করতেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে ফেলেন। এহেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) শরীরেই থাবা বসিয়েছিল করোনা। তবে বর্তমানে সুস্থ তিনি। শুক্রবার রাতে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিজের বাড়িতে ফেরেন তিনি। তাঁকে বরণ করে নেন এলাকার লোকজন।
সুজিত বসু গাড়িতে করে নিজের এলাকায় পৌঁছনোর আগেই সেরে ফেলা হয় তাঁকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি। সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীরা। ছিলেন বিধাননগরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত। তাঁর গাড়ি এলাকায় ঢোকামাত্রই শঙ্খধ্বনি দিতে শুরু করেন একদল মহিলা। কেউ কেউ আবার দিলেন উলুধ্বনিও। করোনাযোদ্ধা দমকলমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে চলল পুষ্পবৃষ্টিও।
মে মাসের শেষের দিকে মন্ত্রীর পরিচারিকার শরীরে থাবা বসায় করোনা। নির্দিষ্ট বিধি মেনে মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু করোনা আক্রান্ত। তবে তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গই দেখা যায়নি। সে কারণে প্রথমদিকে বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন মন্ত্রী। তবে একে একে করোনা পজিটিভ হন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। করোনাকে হারিয়ে শুক্রবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
সুজিত বসুর করোনা আক্রান্তের খবর শুনে রাজনৈতিক মহল তো বটেই, আমজনতাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাঁর সুস্থতা কামনায় বিধাননগর পুরনিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব নস্কর যজ্ঞও করেন। তিনি অসুস্থ থাকাকালীন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে ফোন করে মন্ত্রীর খোঁজ নিয়েছেন। এছাড়াও গায়ক অভিজিৎ, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সকলেই ফোন করে দমকল মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। বাংলাদেশের সাংসদ শেখ হালাম এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাইও ফোনে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। পরিচিতদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে অসুস্থতার মাঝেও যথেষ্ট খুশি হয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.