Advertisement
Advertisement
Dumdum

দমদমে ট্রেন থেকে নামিয়ে সোনা-রুপো ছিনতাইয়ে যুক্ত পুলিশ! তদন্তে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সন্দেহভাজন পুলিশ কর্মীদের জেরায় ডাকা হলেও আসেননি তাঁরা।

Loacal Police may involved in snatching from Train in Dumdum | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 23, 2022 9:13 pm
  • Updated:March 23, 2022 9:13 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর স্টেশন থেকে যাত্রীকে টেনে নিয়ে যায় চারজন। প্রথমে চার চাকা ও পরে তাঁকে বাইকে তুলে ঘণ্টা খানেক ঘুরিয়ে দমদম জেলের পাশে ছেড়ে দেয়। কেড়ে নেয় তাঁর কাছে থাকা ২০ কেজি রুপো। চারজনের সেই ‘ছিনতাইবাজের’ দল নিজেদের শুল্ক আধিকারিক বলেও সেদিন পরিচয় দিয়েছিল।

গত ৯ মার্চ দমদম-বনগাঁ লোকাল থেকে একইভাবে এক যাত্রীকে একই পরিচয় দিয়ে নামিয়ে নিয়ে যায়। চার চাকার গাড়িতে তুলে তাঁকে চিংড়িঘাটার কাছে ছেড়ে দেয়। সেই সময় তাঁর কাছে থাকা ৩০০ গ্রাম সোনা কেড়ে নেয় দলটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে SIT-এর রিপোর্ট তলব, একগুচ্ছ নির্দেশিকা কলকাতা হাই কোর্টের]

দমদমের দলটিকে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে খবর। বেলঘরিয়া থানার পুলিশের আটজনের একটি দল এই কাজে যুক্ত ছিল বলে খবর। বিধাননগরে যাত্রীর রুপো কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় এই দলই যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখছে রেল পুলিশ।

শিয়ালদহ রেল পুলিশের সুপার বি ভি চন্দ্রশেখর বলেন, “সন্দেহের তির অবশ্যই রয়েছে। তদন্ত চলছে, সব দিক খোলা রাখা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার সন্দেহভাজন পুলিশ কর্মীদের বুধবার জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হলেও তারা রেল পুলিশের কাছে হাজির হয়নি বলে। এসআরপি চন্দ্রশেখর বলেন, “লিগাল নোটিস দেওয়া হয়েছে। তা না মানায় যে পদক্ষেপ করা উচিৎ তা নেওয়া হবে।” একই পদ্ধতিতে পরপর দুটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। জিআরপি ও আরপিএফের ঘেরাটোপে এই ধরনের ঘটনা বারবার হওয়ায় চরম উদ্বিগ্ন রেল  প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস ধরতে বিধাননগর স্টেশনে আসেন দেওঘরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যাম সুন্দর। ট্রেনে ওঠার সময় চারজন তাঁকে এক প্রকার টেনে স্টেশনের থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় শুল্ক আধিকারিক পরিচয় দিয়ে। এরপর প্রথমে চার চাকায় ও পরে বাইকে চড়ায় থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে। এরপর দমদম জেলের পাশে নির্জন জায়গায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা ২০ কিলো রুপো কেড়ে নেয় ওই দলটি। এরপরই শিয়ালদহ রেল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে শ্যামসুন্দর।

রেলপুলিশ সে সময়ও সিসিটিভির ফুটেজ থেকে বাইকের ছবি ও নম্বর সংগ্রহ করে। বাইকটি ফিরোজ খান নামের ব্যক্তির। এক মাস অতিক্রান্ত হলেও সেই রুপোর কোনও হদিশ পায়নি শিয়ালদহ রেল পুলিশ। রেল পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন সূত্রে তদন্ত চলছে। দমদমের দলটি জড়িত থাকার বিষয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে সেদিকে লক্ষ্য রেখে তদন্ত চলছে।

[আরও পড়ুন: ফের কলকাতা মেট্রো থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকার সোনা-হিরের গয়না উদ্ধার, আটক ২]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement