Advertisement
Advertisement
লকডাউনে ঘরবন্দি বিজেপি নেতৃত্ব

করোনায় ঘরবন্দি জীবন, বই পড়ে-রান্না করে সময় কাটছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের

গেরুয়া শিবিরে আর পাঁচটা দিনের মতো ব্যস্ততা নেই কারও।

Life In Quarantine for Bengal BJP Leaders, see what their doing
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 26, 2020 4:37 pm
  • Updated:March 30, 2020 6:15 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনার জেরে ঘরবন্দি রাজনৈতিক নেতারাও। গেরুয়া শিবিরে আর পাঁচটা দিনের মতো ব্যস্ততা নেই কারও। নেই কোনও দলীয় কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় নেতাদের ডাকা বৈঠকও হচ্ছে না। আর দলের সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেনও শুনশান। তাই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কেউ ঘরে সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে। কেউ মগ্ন রান্নায়। কেউ আবার পড়ছেন উপন্যাস কিংবা গল্পের বই।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলতে গেলে মাসের তিরিশ দিনই পার্টির কাজে জেলায় জেলায় ঘুরতে হয় তাঁকে। রাজ্য বিজেপির সবচেয়ে ব্যস্ত নেতা তিনি। কিন্তু গত রবিবার থেকেই সল্টলেকের বাড়িতে গৃহবন্দি দিলীপ ঘোষ। স্কুল জীবনে গল্পের বই পড়ার নেশা ছিল তাঁর। সেই সময় এখন আর পান না। কিন্তু এই কদিন একাধিক গল্পের বই, গত বছরের পুজো সংখ্যার উপন্যাস পড়ছেন। তাছাড়া, ফোনে জেলায় জেলায় পার্টি কর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন। আবার পুরনো বন্ধু অনেকের সঙ্গেই এখন ফোনে কথা বলার সময়ও পাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, সাহায্যের হাত বাড়ালেন শহরের পুজোওয়ালারা]

দলীয় কার্যালয়ে গেলে যাঁর চারপাশে ঘিরে থাকে কর্মীরা। ভিজিটররা লাইন দিয়ে থাকেন দেখা করার জন্য। তাই ঘর বন্দি অবস্থায় নিজের বাড়িতে সময়ই যেন কাটছে না মুকুল রায়ের। বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য তিনি। অনেকে বলেন রাজ্য বিজেপির চাণক্যও। অন্য সময় হলে বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক ভাবে দলের অবস্থা কি বা ভোট পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু এখন বাড়িতে সময়ই কাটছে না।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও গৃহবন্দি। ঘরে থেকেই মন্ত্রকের কাজ সামলাচ্ছেন। আর কিছুটা সময় দেওয়া পরিবারকে। তিন বছরের মেয়ের সঙ্গেই অনেকটা সময় কাটছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ গায়ক বাবুল সুপ্রিয়র। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে রয়েছেন পরিবারের সঙ্গে। সময় কাটছে ছেলের সঙ্গেও। আর নিজেও কদিন ব্যস্ত রান্না ঘরে। লকেট জানালেন, ডাল-ভাত-আলুভাতে এটাই মূলত মেনু। বাড়তি কিছু নয়। তবে নিজের লোকসভা কেন্দ্র হুগলি থেকে তো বটেই আরও নানা জায়গা থেকে পার্টি কর্মীরা ফোন করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে হুগলির সাংসদকে। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বাড়িতে স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর জায়গা রাস্তায় নয়, আপনি ঘরে থাকুন’, মমতাকে খোঁচা দিলীপের]

রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু তো বলেই দিলেন, এখন চেষ্টা করছি ফোন যত কম ধরা যায়। অনেক বই কেনা ছিল। সেগুলো পড়ছি। আর রবীন্দ্র সংগীত শুনছি। বিদ্যাসাগর রচনাবলী, রাসবিহারী বসুর নতুন একটি বই যতদিন ঘরে আছেন পড়ে ফেলবেন। অন্য সময় হলে রাজ্যে এখন পুরভোটের ব্যস্ততা থাকত। সভা, মিটিং-মিছিলে ব্যস্ত থাকতেন বিজেপি নেতারা। কোন ওয়ার্ডে কী রেজাল্ট হতে পারে তা নিয়ে চলত চুলচেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু ভোটযুদ্ধের সেই লড়াইয়ের থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন। দেশের স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে সবাইকেই এখন ঘরে থাকতেই হবে। বলছে বিজেপি নেতৃত্ব।

রাজ্য বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনই যাঁর চব্বিশ ঘন্টা ভাবনায়। সেই সুব্রতবাবু সারাদিন বিভিন্ন জেলায় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আর সংগঠন নিয়ে আলোচনা করেই সময় কাটাচ্ছেন। সকালে উঠে কাগজে চোখ বুলিয়ে নেওয়া। অন্য সময় টিভিতে খবর দেখছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement