Advertisement
Advertisement
Eastern Command

ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে

আজ থেকেই দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তিনি।

Lieutenant General Manoj Pande took over the reins of Eastern Command as its General Officer Commanding-in-Chief | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 1, 2021 7:03 pm
  • Updated:June 1, 2021 8:11 pm  

অর্ণব আইচ: ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Eastern Command) প্রধান হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। দেশমাতৃকার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা, পরাক্রম এবং আত্মত্যাগের জন্য অতি বিশ্বস্ত সেনা পদক, বিশ্বস্ত সেনা পদকে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহানের উত্তরসূরি হিসেবে ১ জুন, মঙ্গলবার থেকেই ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধানের দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তিনি।

ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান হওয়ার আগে আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের কমান্ডার-ইন-চিফের ভূমিকা পালন করেছেন। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান হিসেবে অনিল চৌহানের শৌর্য ও বীরত্বও দেশকে গর্বিত করেছে একাধিকবার। গত বছর হাড়হিম করা ঠান্ডার মাঝেও উত্তেজনায় উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের পর থেকেই মুখোমুখি আণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন দুই পড়শি দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) একটি ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গ ঘটাতে পারে যুদ্ধের বিস্ফোরণ। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উসকে তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছিলেন, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিনা সেনাবাহিনী (China)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কোভিড অন হুইল’, এবার কলকাতা বাজারেও হবে টিকাকরণ, নয়া উদ্যোগ KMC’র]

বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতায় সেনার সদরদপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ ইস্টার্ন কমান্ড অনিল চৌহান দেশের পরিস্থিতি সাফ তুলে ধরে বলেন, “লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন ও গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চিন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস সম্পূর্ণ উবে গিয়েছে। শীতের জন্য আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহার করছি। ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে সিকিমে প্রায় অরুণাচল প্রদেশে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে দুই দেশ। আমরা জানতে পেরেছি সিকিমে ও অরুণাচলের কামেং সীমান্তে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সীমান্তে গ্রাম তৈরি করে যাযাবরদের সেখানে বসাচ্ছে চিন। কিন্তু যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে শীতের মরশুমেও আমরা সম্পূর্ণভাবে তৈরি। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডার জন কিছু এলাকায় ভারত ও চিন দু’পক্ষই টহল দিতে পারবে না। এটা শুধু ইস্টার্ন কমান্ডের জন্য নয়।”

তিনি আরও বলেছিলেন, “লাদাখে সংঘর্ষের পর ইস্টার্ন কমান্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলিতে বড় কোনও চিনা আগ্রাসন ঘটেনি। সন্ত্রাসবাদী গতিবিধি কমে আসায়। সন্ত্রাসদমন অভিযানে মোতায়েন জওয়ানদের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আমফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনী সব সময় প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে। কলকাতার মানুষ, প্রশাসন ও পুলিশের কাছে সেনাবাহিনী যে সম্মান পেয়েছে তা অতুলনীয়।” অনিল চৌহানের পর এবার ইস্টার্ন কমান্ড সামলানোর গুরুভার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডের উপর।

[আরও পড়ুন: নারদ মামলা অন্যত্র সরাতে মরিয়া CBI, কলকাতা হাই কোর্টে জোরদার সওয়াল তুষার মেহতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement