স্টাফ রিপোর্টার : একা সারমেয়তে রক্ষা নেই, মার্জার দোসর ! হাসপাতাল চত্বরে কিলবিল করছে ম্যাওপুষিরা। কুকুরকে তো স্টেরিলাইজশন করে, ভ্যাকসিন দেওয়ার উপায় আছে। কিন্তু বিড়ালের বেলায়? আইন বলছে, কুকুর ধরলেও বিড়াল ধরার উপায় নেই। ফলে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মার্জারদের উৎপাত দেখেও স্রেফ দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে পুরসভার কর্মীদের।
শুক্রবার এনআরএস হাসপাতালে কুকুর ধরতে গিয়েছিল পুরসভার ‘ডগ ক্যাচার’ টিম। ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তাঁকে রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা ঘিরে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ জানান, “হাসপাতালে বিড়ালের উৎপাতে টেকা দায়। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব মিলিয়ে ১৫০টি বিড়াল রয়েছে। এদের নির্বীজকরণ করানো হয় না। তাই ক্রমশ বাড়ছে সংখ্যা।” জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের আইনের গেরোতেই আটকে বিড়ালের ধরপাকড় পদ্ধতি। ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, “কুকুরকে আলাদা করে গৃহপালিত এবং রাস্তার – এই দু’ধরনের বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু বিড়ালের ক্ষেত্রে তা করা নেই। ফলে আইনের গেরোতেই আটকে রয়েছে বিড়াল ধরার বিষয়টি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগে দফতরকে চিঠি দিচ্ছি। তাঁরা পরিষ্কার করে জানাক – বিড়াল ঠিক কোন তালিকাভুক্ত। সেই আইন অনুযায়ী আমরা এগোতে পারব।” এদিকে রোগীর পরিবারের অভিযোগ, অনেকসময় রোগী, তাঁদের পরিজন এবং হাসপাতাল কর্মীদের কামড়ে দিচ্ছে বিড়াল। ভিড়ের মধ্যে অসাবধানতাবশত বিড়ালের লেজে পা পড়ে গেলে কামড় খাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে হাসপাতালে। রোগীর খাবারে ভাগ বসাচ্ছে মার্জার বাহিনী।
[প্রমোটিং বিবাদে গ্যাংওয়ার, রাতের শহরে ফের চলল গুলি]
এ প্রসঙ্গে ডেপুটি সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, “ আপাতত বিড়াল ধরার বিষয়টি আইনি জটিলতায় আটকে। তবে বিড়াল যাতে ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে না পড়ে, তার বন্দোবস্ত করছি আমরা।” এদিন প্রায় চারটি ভ্যান ভরতি কুকুর নিয়ে যান পুরসভার কর্মীরা। ধরপাকড়ের সময় হাজির ছিলেন ডেপুটি সুপার। তিনি জানিয়েছেন, “ অ্যান্টি র্যাবিশ ইঞ্জেকশন দেওয়া থাকলে রাস্তার কুকুরের প্রতি মানুষের ভয় অনেকটাই কাটানো যাবে।” এদিকে, এনআরএস-র কুকুর হত্যাকাণ্ডে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দু’মাসের জন্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে। স্বাস্থ্য ভবন থেকেই এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনও ক্লাস করতে পারবেন না ওই দুই ছাত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.