ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ঘোষিত কর্মসূচি। উদ্দেশ্যও জানা। কিন্তু, মিছিলের সামনের সারিতে এতদিনের চেনা মুখগুলো চলে গেল পিছনের সারিতে। বদলে সামনে এলেন ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠনের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, মিছিলের সামনের সারিতে জায়গা করে নিলেন উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলির কল-কারখানার কর্মীরাও। বাবরি মসজিদ ভাঙা ও বিভাজনের বিরোধিতার মিছিলে দীর্ঘদিনের রীতি ভাঙল বামেরা।
[ বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দিল না হাই কোর্ট]
বৃহস্পতিবার মহাজাতি সদন থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল অংশ নেয় সিপিএম-সহ ১৭টি বাম দল। দুপুরে মহাজাতি সদনের সামনে থেকে মিছিল শুরুর আগেই বিমান বসু জানিয়ে দেন, তিনি সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ নেতারা থাকবেন মিছিলের পিছনের সারিতে। নেতাদেরও হাতে দলের পতাকা নিতে হবে। ঘোষণা অনুযায়ী মিছিলের শুরুতে সিপিএম ও ১৭ বাম দলের ছাত্র-যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা সামনের সারিতে চলে আসেন। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “বিভাজনের রাজনীতি করে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে আবারও সেই একই পদ্ধতি শুরু করেছে। মধ্যবিত্তই শুধু নয়, কৃষক ও শ্রমিকরাও আক্রান্ত।” সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, “সংঘ পরিবার যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে, তার বিরোধিতা করার পাশাপাশি ব্রিগেড সমাবেশেরও মহড়া হয়ে গেল এই মিছিল থেকে।” তাঁর কথায়, “বামেরাই প্রয়োজনে পথে থাকবে। সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিকে তাকিয়ে রথযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। বিভাজন আটকাতে প্রয়োজনে পথে নামবে বামেরা।” মহাজাতি সদন থেকে শুরু হয়ে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে মিছিল শেষ হয় পার্ক সার্কাসে। বাম দলগুলির দাবি, মিছিল যত এগিয়েছে ততই তা বহরে বেড়েছে। ফলে বিকেলের দিকে শিয়ালদহ থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত ব্যাপক যানজট হয়।
কিন্তু, এতদিন বামেদের মিছিল তো দলের নেতারাই প্রথম সারিতে থাকতেন। হঠাৎ করে ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতাদের কেন মিছিলের প্রথম সারিতে আনা হল? রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে ছাত্র-যুবদের সামনে সারিতে এনে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে বামেরা। সেটাই শুরু হল এদিনের মিছিল থেকে।
[ সব ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি ও বিশ্বাস ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ: মমতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.