স্টাফ রিপোর্টার : একই ইস্যুতে দু’টি মিছিল। একটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা,কর্মীরা। অপর মিছিলে শামিল ১৭টি বাম দলের কর্মী, সমর্থকরা। দ্বিতীয় মিছিলটির পুরোভাগে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ বাম শীর্ষ নেতারা। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে দু’দফায় বামেদের মিছিল আটকাল পুলিশ। তবে মিছিল হয়েছে। ধর্মতলায় মিছিলের শুরুতেই বিমান বসু জানান, পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে ধর্মতলা থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করা হবে না। বদলে মিন্টো পার্কের কাছে শহিদ ভগৎ সিং উদ্যানে মিছিল শেষ করা হবে।
পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর বামেদের মিছিল শুরু হয় চারটের একটু পরে। কিন্তু ধর্মতলার মুখে আসতেই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থেই বামেদের মিছিল আটকায় পুলিশ। উলটোদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল ততক্ষণে চলে এসেছে। এই অবস্থায় কোনওরকম ঝুঁকি নেয়নি পুলিশ। সেখানেও পুলিশ কর্তারা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেন। কিছুক্ষন পর ফের মিছিল শুরু হয়। এবার পার্ক স্ট্রিটে ঢোকার মুখে দ্বিতীয় দফায় ফের আটকানো হয় মিছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ফের মিছিল শুরু হয়। মিছিলের শুরুতেই কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহত সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
সিপিএমের উপর চাপ বাড়াতে ৪২ আসনেই তালিকা তৈরি কংগ্রেসের
বামেদের এদিনের মিছিলটিকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়। একটি জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল। অপরটি চিটফান্ডে ইস্যুতে। মিছিলের শেষে বিমান বসু বলেছেন,“কেন্দ্রের যুদ্ধং দেহি মনোভাবের জন্যই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কূটনৈতিক আলোচনা করে সমস্যা মেটানো দরকার।” বিমান বসুর অভিযোগ, পুলিশের অনুরোধে হাজরার বদলে মিন্টো পার্কে মিছিল শেষ করা হল। তাও দু’দফায় আটকানো হল। পুলিশের বাধা সরিয়েই মিছিল হয়েছে। এদিনের মিছিলে চার বাম দল-সহ ১৭টি বাম দলের নেতা ও কর্মীরা অংশ নেন। একইসঙ্গে পুলওয়ামা হামলা এবং চিটফান্ড ইস্যুতে রাস্তায় নেমে বামফ্রন্ট কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ের বিরুদ্ধেই বার্তা দিতে চাইল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.