বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: লকডাউনের পর সরাসরি পথে নেমে কর্মসূচিতে জোর দিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট। সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনেই একাধিক কর্মসূচি গৃহীত হয়েছিল রাজ্য কমিটির ভারচুয়াল মিটিংয়ে। সেইমতো পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়ে একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আজ রাস্তায় নেমে সরাসরি পুলিশের বাধার মুখে পড়ল বাম নেতৃত্ব। রানি রাসমনির সভা থেকে গ্রেপ্তার করা হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। অভিযোগ, অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগে পুলিশ সভাস্থল থেকে সকলকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুধু সিপিএম রাজ্য সম্পাদকই নন, সভায় উপস্থিত কমরেড কার্তিক পাল, বাসুদেব বসু-সহ সবাইকে ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে গেল পুলিশ। আর কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে বসে বার্তা দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বার্তা, সবার জন্য খাদ্য, সবার জন্য চিকিৎসা ও সব হাতে কাজ চাই। মজুরি ও বেকারভাতার দাবি জানানো হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন শাসকদলের কাছে।
করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তার তাগিদেই চিরকাল রাস্তায় নেমে, মানুষের সঙ্গে মিশে আন্দোলন করা বামপন্থীরা এবার কার্যত বাধ্য হয়েই পলিটবুরো বৈঠক, রাজ্য কমিটির সম্মেলন – সবই করেছেন অনলাইনে। গত সপ্তাহে সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকটি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু নিজে পরিচালনা করেন। সেখান থেকেই তিনি ১৬ তারিখ রানি রাসমনির কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কী কী দাবিদাওয়া তুলে ধরা হবে, তাও স্থির করা হয়েছিল ওই বৈঠকে। সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে কীভাবে আরও বেশি মানুষকে জমায়েত করা যায়, সেই ভাবনাও ছিল বাম নেতৃত্বে।
সেইমতো আজ পথে নেমে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত ছিলেন কমরেডরা। দুপুর নাগাদ রানি রাসমণি রোডের সভায় মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা শুরু হতে না হতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বাম কর্মী, সমর্থকরা। সভায় উপস্থিত সকলকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় লালবাজারে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বাম নেতৃত্ব। গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.