ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: জোড়া হরতাল হবে, না আবারও মুখ পুড়বে! তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বামেদের মধ্যেই। কারণ সিপিএমের সেই লোকবল নেই। সংগঠনও তলানিতে। ছাত্র-যুব সংগঠনও ধুঁকছে। তাই জোড়া হরতাল রাজ্যে কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আলিমুদ্দিনেই।
গত আট বছরে রাজ্যে বিরোধী বামেদের সব হরতালই ফ্লপ হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই প্রতিটি হরতালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাই মঙ্গলবার ও বুধবারের জোড়া ধর্মঘটে মুখ বাঁচাতে কোমর বেঁধে নেমেছে সিপিএম। আলিমুদ্দিনের দাবি, হরতালের সমর্থনে দিনভর দফায় দফায় রাজ্যে মিছিল ও অবরোধ হবে। একবারে সবাইকে পথে না নামিয়ে আলাদা দল তৈরি হয়েছে৷ যাতে দিনভর বারেবারে রেল-সড়ক অবরোধ করা যায়। অর্থাৎ এক দলকে সরিয়ে দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় হাজির হবে অন্য দল। এমনই ছক সাজিয়েছে সিপিএম। তবে ধর্মঘট সমর্থন করলেও পথে নামবে না কংগ্রেস।
[বিজেপির মোমবাতি মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরায়, গ্রেপ্তার লকেট ]
রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, শুধুমাত্র কলকাতাতেই হরতালের জন্য অন্তত ছ’শোটি দল গঠিত হয়েছে। একেকটি দলে অন্তত একশো জন করে ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠনের কর্মী রয়েছেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য সোমবার বলেন,“সমস্ত জেলাকমিটিকে সার্কুলার দিয়ে বলা হয়েছে শুধুমাত্র মিছিল করে দায় এড়ালে চলবে না। গত কয়েক বছরের তুলনায় বামেরা যে কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করেছে তার প্রমাণ দেওয়ার এটাই মোক্ষম সুযোগ। তাই এই দু’দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাস্তায় থাকতে হবে।” ওই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের কথায়,“সকালে মিছিল করে পার্টি অফিসের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া যাবে না। রাস্তায় থাকতে হবে। হরতাল ভাঙতে চাইলে সক্রিয় প্রতিবাদের রাস্তায় যেতে হবে। তৈরি হয়েছে স্ট্রাইক ও স্টিয়ারিং কমিটি”।
[বাড়ছে অধ্যাপক ও উপাচার্যের অবসরের বয়সসীমা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রবিবারই প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছিলেন। বস্তুত, লোকসভা ভোটের আগে জোড়া হরতালকে সামনে রেখে অস্তিত্ব প্রমাণে মরিয়া বামেরা।হরতালের সমর্থনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই পথে নামবেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ শরিক দলের নেতারা। পথে থাকবেন শ্রমিক সংগঠনগুলিও। আলিমুদ্দিন কিছুটা উৎসাহ পেয়েছে নকশালপন্থী ও এসইউসিকে পাশে পাওয়ায়। এই দুই দলই রাস্তা ও রেল অবরোধে মূল উদ্যোগ নেবে। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র এদিন রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, “পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পারলে তার দায় প্রশাসনের। তাই অন্য কোনও দিন পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।”
হরতালে মূল উদ্যোগ নেবে কৃষক ও খেত মজুর সংগঠন-অন্তত এমনটাই দাবি সিপিএমের। এই দু’দিন মাঠে কাজ করবেন না বলে দাবি করেছে দু’টি সংগঠনই। তবে এটাও ঘটনা যে কলকাতায় যেহেতু বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে তাই জোড়া হরতাল সফল করতে জেলাগুলির উপরই ভরসা করছে বামেরা। গ্রামে রেল ও সড়ক অবরোধ করতে মহিলাদেরও সক্রিয় করেছে সিপিএম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.