সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই বছর পর সামনাসামনি বসে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এই বৈঠক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। মূলত রাজ্যের দাবি দাওয়া নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু, বিরোধীরা মমতার সেই দাবি মানতে নারাজ। বাম এবং কংগ্রেস একযোগে এই বৈঠককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করছে। সেই সঙ্গে, মোদি-মমতা আঁতাঁতের পুরনো তত্ত্বও খুঁচিয়ে তুলছেন সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরিরা।
দিল্লিতে মোদি-মমতার বৈঠক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করতে চাওয়াকে কটাক্ষ করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “এটা সম্পূর্ণ গট-আপ গেম। এতদিন এত বৈঠকে গেলেন না, আজ হঠাৎ দেখা কেন? আবার যাঁকে দড়ি বেঁধে আনার কথা বলেছিলেন, তাঁকে রাজ্যে আসার নিমন্ত্রণ কেন? এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠক।” বাম পরিষদীয় দলনেতার কটাক্ষ, “সব সেটিং করে এলেন।” একই সুর লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরিরও। তিনি বলছেন, “একের পর এক স্ববিরোধী কথা বলছেন মমতা। এটা কথা বলার সময় নাকি! রাজ্যের জন্য টাকা চাইতে হলে বাজেটের আগে চাইতে পারতেন। তখন মিটিং করলেন না, এখন মিটিং কেন?”
মমতার অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “রাজ্যে কি কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কী দরকার? কী বলবেন? রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা তৈরি হতেই কেন দিল্লি যেতে হল?” মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রার সময় নিয়ে প্রশ্ন অবশ্য এই প্রথমবার উঠল না। মমতার দিল্লি যাত্রার পরিকল্পনা হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্ফুট গুঞ্জন, রাজীবকে বাঁচাতেই ধরনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের কোনও কটাক্ষকেই পাত্তা দিচ্ছে না। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের পালটা কটাক্ষ করে বলছেন, “বৈঠকে গেলেও বিপদ, আবার না গেলেও বিপদ! এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক স্তরের বৈঠক এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.