বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: জল্পনা-কল্পনা, টানাপোড়েনের অবসান। অবশেষে বাম-কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) জোটের জট কাটল। মঙ্গলবার দিনভর আলোচনার পর কার্যত সম্পূর্ণ হয়ে গেল জোট প্রক্রিয়া। ব্রিগেডের সভায় জোর গলায় ‘ভাগীদারি’ চাওয়া আব্বাস সিদ্দিকি অনেকটাই সুর নরম করলেন। কংগ্রেস দক্ষিণবঙ্গে যে আটটি আসন তাঁদের ছাড়তে রাজি হয়েছে, তাতেই সন্তুষ্ট আইএসএফ। হাওড়ার জগতবল্লভপুরে আইএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকি নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে সুর অনেকটাই নামিয়ে তিনি দাবি করেছেন, মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি ছোট হয়েই লড়তে রাজি।
ব্রিগেডের সভায় আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddique) যেভাবে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং তাঁর আচরণে অধীর চৌধুরী যে বিরক্ত হয়েছিলেন, সেটাও স্পষ্টতই বোঝা গিয়েছিল। অধীরকে একথাও বলতে শোনা গিয়েছে, “কোনও আব্বাসের কথায় আমাদের দল চলবে না।” একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল কংগ্রেস-আইএসএফ (ISF) জোট প্রক্রিয়া অথৈ জলে, তখনই হস্তক্ষেপ করে কংগ্রেস হাই-কম্যান্ড। প্রদেশ নেতাদের দ্রুত জোট প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয় দিল্লির তরফে। খানিকটা নমনীয়তা দেখায় কংগ্রেস (Congress)। মঙ্গলবার দিনভর বৈঠকের পর আব্বাসকে দক্ষিণবঙ্গের আটটি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আব্বাস সিদ্দিকি কংগ্রেসের কাছে প্রাথমিকভাবে ২০-২৫টি আসন চাইলেও, শেষ পর্যন্ত এই আটটি আসনের প্রস্তাবেই তারা সায় দিয়েছে।
জগতবল্লভপুরের সভা থেকে তিনি জানিয়েছেন,”আমাদের গরিব মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। সেজন্য পরিবর্তন প্রয়োজন। পরিবর্তনের স্বার্থে একসঙ্গে লড়তে হবে। বামফ্রন্টের (Left Front) কাছে আমরা ৪০টি আসনের তালিকা দিয়েছিলাম, ওঁরা আমাদের ৩০টি জায়গা ছেড়েছে। ওঁরা অনেক বড় দল, সদিচ্ছা দেখিয়ে আমাদের ৩০টি দিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গেও আমাদের জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়েছে। ওরাও আমাদের মতো ওঁদের আসন ছেড়েছে। আমি বললাম, ছোট হলেও চলুন একসঙ্গে লড়াই করি। বাংলায় পরিবর্তন দরকার।” যার অর্থ, ব্রিগেডের মাঠে হুঙ্কার দেওয়া আব্বাস সুর অনেকটাই নরম করেছেন। এবং তাঁর দল বিধানসভায় সব মিলিয়ে ৩৮টি আসনে লড়াই করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.