নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূলের ব্রিগেড সভায় ব্যাপক জনসমাগম দেখে ‘শীতঘুম’ ভেঙেছে বামেদের। কোমর বেঁধে নেমে পড়ল তারা। বিশেষত প্রধান শরিক সিপিএমের কাছে ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সভায় যত বড় মাপের জনসমাবেশ করা যায় সেদিকে লক্ষ রেখে প্রচারও শুরু হল জেলায় জেলায়। আবার এদিন বিকেল থেকে প্রচারও শুরু করে দিল শরিক দলগুলিও। বিমান বসু বা সূর্যকান্ত মিশ্রর মতো শীর্ষনেতারা শরিক দলগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে ৩ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে ব্যাপক সংখ্যায় কর্মীদের হাজির করানোর বার্তা দিয়ে রেখেছেন। আলিমুদ্দিনের কড়া বার্তা, কোনও নেতাকর্মীর গরহাজির বরদাস্ত করা হবে না। শুধুমাত্র অসুস্থ হলে ছাড় দেওয়া হবে। সব বাম শরিকই বড় দলের এই ‘নির্দেশ’ মেনে নিয়েছে।
এদিকে শনিবার ব্রিগেডের সমাবেশ শেষ হতেই সিপিএম-সহ শরিক দলের নেতারা নিয়ম করে সমালোচনাও করেছেন। দাড়িভিটে ডিওয়াইএফআই-এর সমাবেশে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি থেকে আলিমুদ্দিনে সূর্যকান্ত মিশ্র এদিনের ব্রিগেডে সমাবেশের সমালোচনা করেছেন। বাদ যায়নি শরিক দলও। সীতারাম ইয়েচুরি যেমন বলছেন,“এটা তো নেতাদের সভা।” আবার একধাপ এগিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন,“ব্রিগেডের ঐতিহ্যের সঙ্গে মেলে না এদিনের সমাবেশ।” শরিক সিপিআই, আরএসপি বা ফরওয়ার্ড ব্লক অবশ্য এদিনের জনসমাবেশকে মেনে নিয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরি এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়,“নিজেদের সংগঠন না বাড়িয়ে ব্রিগেডে ভিড় বাড়িয়ে লাভ কী?” অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি ব্রিগেডে বড় মাপের সমাবেশকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তাঁরা। সীতারামের কথায়,“সিপিএম চাইছে ভারত থেকে বিজেপিকে সরাতে আর রাজ্য থেকে তৃণমূলকে সরাতে।”
একই বক্তব্য সূর্যকান্ত মিশ্ররও। একধাপ এগিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্রর দাবি, এখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে দাবি করছে চার বছর আগে ২০১৫ সালেই তাঁরা এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন। এখন সবাই বুঝতে পারছে। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনছে একই ঘটনা রাজ্যে হচ্ছে। এদিনের সমাবেশে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব হাজির থাকার ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেছেন,“গত সাত বছরে রাজ্যে কংগ্রেসেরও দল ভেঙেছে। তাদের উপরও অত্যাচার হয়েছে। তাই কংগ্রেসকেই ঠিক করতে হবে তারা কোনদিকে যাবে? ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশেও যে কর্মীরা হাজির থাকবেন তা আগাম জানিয়ে রেখেছেন সিপিএম-সহ শরিক দলের নেতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.