Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gorkhaland

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার বিরোধিতায় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়াল বাম-কংগ্রেস

রাজ্যের অবস্থানকে সমর্থন অধীর চৌধুরীদের।

Left and Congress is with West Bengal govt on Gorkhaland issue | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 21, 2021 9:50 pm
  • Updated:June 21, 2021 11:22 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: উত্তরবঙ্গকে (North Bengal) আলাদা রাজ্য করার দাবি বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের। তার বিরোধিতায় বাম ও কংগ্রেস। ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবসে’ বাংলাকে ভাঙার দাবি তোলা হচ্ছে। আসলে স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাকে ভাগ করে বাঙালির জাতিসত্বার সর্বনাশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি বলে অভিযোগ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। এই চক্রান্ত আগেও হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নানা নাম দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হয়েছে। এটা বিজেপির পরিকল্পিত প্রচার। কংগ্রেস এই চক্রান্তের বিরোধী বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। তাই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি করেন একাধিক বিধায়কও। রাজ্যের শাসকদল প্রথম থেকেই এই দাবির বিরোধিতা করছে। এবার শাসকের পাশে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের দাবির বিরোধিতা করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: BJP’র প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে তৃণমূল সরকার]

স্বাধীনতার আগে থেকে বাংলাকে ধ্বংস করার যে চক্রান্ত তৎকালীন জনসংঘ করে আসছে এখন তা করছে বিজেপি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রোধ করে গর্ব করেছিলেন আর জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা বাংলা ভাগ করে গর্ব করেছিলেন। কিন্তু বাংলার মানুষ তা মন থেকে মেনে নেয়নি বলে গেরুয়া শিবিরকে (BJP) স্মরণ করান সুজন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে একসঙ্গে বাংলাভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এই ইস্যুতে তৃণমূলের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সুজন। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের তোলা দাবির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন প্রদেশ সভাপতি ও কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, গোর্খাল্যান্ড, কামতাপুরি বা গ্রেটার কোচবিহারের নামে বারবার উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার চক্রান্ত হয়েছে। আলাদা রাজ্য হলে সেখানকার উন্নয়ন হবে সেখানকার মানুষকে ভুল বোঝান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। একজন সাংসদ বলছেন বলে গুরুত্ব না দিয়ে বসে থাকলে হবে না। এর পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ অধীরের। রাজ্য সরকারকে চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব কৌশলী চাল দিচ্ছে। সকলকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন অধীর।

[আরও পড়ুন: কলকাতায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড বিদ্যুৎ পর্ষদের স্টেশন ম্যানেজার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement