সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে হারাতে রাজ্যের তিন বিরোধী দল একসঙ্গে কাজ করছে। সিপিএম এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় স্তরে বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপির অঘোষিত জোটও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। কিন্তু রাজ্যস্তরে এই ধরনের কোনও আঁতাত এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আসলে আদর্শগতভাবে ভিন্ন মেরুর দুই দলকে এক মঞ্চে আনাটা সত্যিই কঠিন কাজ। এবং সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল।
মমতাকে হারানোর বৃহত্তর স্বার্থে একবারের জন্য পারস্পারিক বৈরিতা ভুলে এক মঞ্চে এসেছিলেন বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং বিজেপির প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেখানেও নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন তারা। বাংলায় পরিবর্তনের দাবিতে আয়োজিত একটি সেমিনারে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সভামঞ্চে উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা তথা বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।
কিন্তু, এই ঐক্যের মঞ্চেও ঐক্য তুলে ধরতে পারল না বামফ্রন্ট এবং গেরুয়া শিবির। মমতাকে উৎখাত করার দাবিতে আয়োজিত মঞ্চে নিজেদের মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি এবং সিপিএমের দুই রাজ্যস্তরের হেভিওয়েট নেতা। বিবাদের সূত্রপাত, বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের এক বক্তব্য থেকে। অশোকবাবু নিজের বক্তব্যের সময় বিজেপি বিরোধী মন্তব্য করে ফেলেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে গোটা দেশে হেলিকপ্টারে ঘুরছেন, সেটা কার টাকায়?” তখন মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এরপর সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতেই প্রধানমন্ত্রীকে আরও তীব্রভাবে আক্রমণ শানান। তিনি সরাসরি বলেন, নরেন্দ্র মোদি আদানিদের টাকায় ভোটের প্রচার করছেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরই সভামঞ্চে উপস্থিত বিজেপি সমর্থকরা হট্টগোল শুরু করেন। রীতিমতো বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন আয়োজকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.