বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘মুকুল রায় (Mukul Roy) দলবদল করেননি’। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে যে তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। মুকুল রায়কে উত্তরীয় পরানোর যে ছবি তথ্যপ্রমাণ হিসাবে বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে দেওয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক কর্মসূচির নয়। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলে দলবদল মামলায় দাবি করলেন মুকুলের আইনজীবীরা।
আর যেইসময়ের ছবি দেওয়া হয়েছে সেইসময় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তাই তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা সঠিক ছিল না। এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে মুকুলের আইনজীবীদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা। ৭ জানুয়ারি ফের শুনানি হবে বলে দু’পক্ষকে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই দলবদল নিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের চূড়ান্ত রায় হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা।
গত ২০১৭ সালের নভেম্বরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। কয়েকবছর পর তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুও দলবদল করেন। ২০২০ সালে দলের হয়ে ভাল কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিজেপিতে (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রায় প্রচার ছাড়াই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জেতেন মুকুল রায়। সাড়ে ৩ বছরের ব্যবধানে ফের পুরনো দলে ফেরেন তিনি। সপুত্র ঘাসফুল শিবিরে ফেরেন মুকুল রায়। ‘ঘরের ছেলে’কে স্বাগত জানান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুকুলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এরপরই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হয় বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.