সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মামলার ‘সুপ্রিম’ শুনানিতে চন্দন সেন খুনের মামলার উল্লেখ। ২০০৩ সালে পুকুরে মিলেছিল রানাঘাটের চিকিৎসকের দেহ। মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছিল রহস্য। তদন্তে উঠে এসেছিল জাল ওষুধ পাচার চক্রের কথাও। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উল্লেখ হল সেই মামলার। ঠিক কী ঘটেছিল সেই সময়?
বাম আমলে ২০০৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পুকুরে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক চন্দন সেনের নিথর দেহ ভাসতে দেখা যায়। ওই রাতে এলাকার হাসপাতালের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল তাঁর। তার পর আর বাড়ি ফেরা হয়নি। সেই সময় রানাঘাটে চন্দন একাই থাকতেন। পরিবার থাকত বাগুইআটিতে। সেইসময় তড়িঘড়ি চন্দনের দেহের ময়নাতদন্ত সেরে ফেলারও চেষ্টা হয়। কিন্তু পরিবারের চাপে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে দেহ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হয়। বোঝা যায়, চন্দনকে খুন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন সকলেই রানাঘাট হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তদন্তে জানা যায়, চন্দন কায়েমি চক্রের মুনাফার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। তাই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছিল। দাবি, খুনের নেপথ্যে ছিল বাংলাদেশে ওষুধ পাচার চক্র। যদিও সন্দেহভাজন সকলে পরে বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। এই মামলার উল্লেখ করা হল আর জি কর মামলার শুনানিতে।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন আইনজীবী দাবি করেন, আর জি কর কাণ্ডে বায়োমেডিক্যাল পাচার হয়েছে বাংলাদেশে। এর আগেও রানাঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দন সেনের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশে ওষুধ পাচারের বিষয়টি উঠে এসেছিল। এই সূত্রে ধরেই এদিন ফের তাজা হল ২০০৩ সালের ডাক্তার খুনের স্মৃতি। যা নিয়ে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “এদিন সুপ্রিম কোর্টে বাম আমলের চিকিৎসক খুন কথা উঠে আসে। বাংলাদেশ থেকে আসা ওষুধ চক্রের প্রতিবাদ করায় খুন হতে হয়েছিল। পুরোটাই ঘটেছিল বাম জমানায় কী ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল তাও সুপ্রিম কোর্টে উঠে এল! তাই কমরেডরা ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে যে বাড়াবাড়ি নাটকগুলো করেন, সেটা করবেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.