Advertisement
Advertisement

Breaking News

এনআরএস

এনআরএস কাণ্ডে পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না, রিপোর্ট দিল লালবাজার

এনআরএস কাণ্ড দেরিতে খবর পায় কন্ট্রোলরুম, দাবি লালবাজারের৷

Lalbazar report absolves police of NRS negligence charge
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 29, 2019 11:40 am
  • Updated:June 29, 2019 11:40 am  

অর্ণব আইচ: এনআরএস কাণ্ডে পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না। যদিও এন্টালি থানার অতিরিক্ত ওসি সরাসরি লালবাজারের কন্ট্রোল রুমকে কিছু জানাননি। দেরি করে খবর পায় লালবাজার। অবশ্য পুলিশ যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি অবস্থা আয়ত্তে নিয়ে আসে। এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা ও গোলমালের ঘটনায় এই মর্মে রিপোর্ট দিল লালবাজার।

[ আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আবহে ফের সক্রিয় বেটিং চক্র, কলকাতায় ধৃত ২]

লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি এনআরএস কাণ্ড নিয়ে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এসটিএফ) পুলিশ কমিশনারকে একটি রিপোর্ট জমা দেন। গত ১০ জুন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এনআরএস। আক্রান্ত হন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারই জেরে শুরু হয় জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ তুলেছিলেন পুলিশের গাফিলতির কারণেই এত বড় ঘটনা ঘটেছে ও তাঁদের উপর আক্রমণ চলছে। তাই এই বিষয়ে লালবাজারের পক্ষ থেকে যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ)কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। কিছুদিন আগে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মাসের শুরুতেই অ্যাপ ক্যাব-ট্যাক্সি ধর্মঘটের ডাক, ভোগান্তির আশঙ্কা আমজনতার]

পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা আছে যে যখন জুনিয়র চিকিৎসকরা বিবিবাগানের মহম্মদ শহিদের দেহ ছাড়ছিলেন না তখন গোলমাল শুরু হয়। গোলমালের খবর পেয়ে এনআরএস আউটপোস্টের ওসি অন্য ডিউটি ছেড়ে সেখানে এসে হাজির হন। চলে আসেন ফাঁড়ির অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে গোলমাল থামানোর চেষ্টা করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিজনদের নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢোকে। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের ওয়ার্ডে যেতে বলেছিলেন। পুলিশ এই বিষয়টি মিটমাট করতে গেলেই সমস্যা শুরু হয়। যেদিন ঘটনাটি ঘটে, সেদিন এন্টালি থানার ওসি ছুটিতে ছিলেন। দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত ওসি।
লালবাজার তদন্তে জেনেছে, খবর পেয়ে এনআরএসে যান তিনি। গোলমালের বিষয়টি ইএসডি বা ডিভিশনের কন্ট্রোল রুমকে জানান। কিন্তু তখনই লালবাজারের কন্ট্রোল রুমকে ঘটনাটি জানানো হয়নি। অবস্থা আয়ত্তে আনার জন্য ইএসডি কন্ট্রোল পুলিশ বাহিনীকে এনআরএসে পাঠাতে শুরু করে। যায় অন্য থানার পুলিশও। ইএসডি কন্ট্রোল থেকেই লালবাজার কন্ট্রোলে খবর যায়৷ পুলিশকর্তাদের মতে,  প্রথমেই লালবাজারকে জানানো হলে হয়তো আরও আগে পুলিশ গোলমাল আয়ত্তে আনতে পারত। অবশ্য গোলমাল চলাকালীন পুলিশ তৎপর হয়ে হামলাকারীদের এনআরএস হাসপাতালে বাইরে বের করে দেয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement