ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দিল লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর। ১৩০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি। তাঁদের সকলকেই পলাতক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের অন্যতম প্রাক্তন এসআই আবদুল হাই। চাকরি থেকে সদ্য অবসর নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে সমরেশ বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে রিপন বিশ্বাস, দীপঙ্কর দাস, মনোজ গুপ্তা, দীপক মণ্ডল প্রমুখদের।
বলে রাখা ভালো, এই মামলায় প্রথম গ্রেপ্তারি হয় ১২ ডিসেম্বর। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার কথা। বাকি দু’জন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, চার্জশিটে নাম থাকা ১২০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুয়ো নথি জমা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করার।
এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল হাইকে হাবড়ার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বছরের শুরুতেই। বয়স ৬১ বছর। সদ্য এসআই হিসাবে কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবদুল। অভিযোগ, জাল ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টির এনকোয়ারি অফিসার ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে চক্রের অনেককেই চিনতেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পাসপোর্ট জালিয়াতিতে সাহায্য করতেন। তিনি পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার টাকা করে নিতেন বলে দাবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট কাণ্ডে অভিযুক্ত সমরেশের সঙ্গে যোগ ছিল ধৃত আবদুলের।
তদন্তে নেমে এযাবৎ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর জাল নথি, এসবিআই ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সিল, একাধিক ভারতীয় পাসপোর্টের ফটোকপি এবং ব্রিটেনের ভিসা। জানা গিয়েছে, শুধু এদেশে নয়, বাংলাদেশেও ছড়িয়ে জাল পাসপোর্টের কারবার। অবশেষে এই মামলায় চার্জশিট জমা দিল লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.