Advertisement
Advertisement
Jamtara Gang

মোবাইল সংস্থার কর্মীদের মাধ্যমেই তোলা হত জাল সিমকার্ড, গ্রেপ্তার জামতাড়া গ্যাংয়ের ৪

এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছথে ১২৬০ জাল সিমকার্ড।

Lalbazar arrests 4 members of Jamtara Gang accussed of taking fake simcards illegally | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 19, 2022 9:12 pm
  • Updated:June 19, 2022 9:25 pm

অর্ণব আইচ: কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাংয়ের (Jamtara Gang) জাল সিমকার্ড পাচার। কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হল এই চক্রের এক পান্ডা-সহ চার সদস্য। তাদের কাছ থেকে মোট ১২৬০টি জাল সিমকার্ড উদ্ধার করেছেন লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত এই চক্রের পান্ডার নাম পরশ মণ্ডল। বাকিরা তৌসিফ মণ্ডল, মণিরুল মণ্ডল ও সৈয়দ ফরিদুল। তাদের মধ্যে পরশ জামতাড়ার বাসিন্দা। অন্য তিনজনেরও প্রতিনিয়ত যাতায়াত রয়েছে জামতাড়া-সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায়। কী পদ্ধতিতে এই চক্রটি ‘প্রি অ্যাকটিভেটেড’ জাল সিমকার্ড জোগাড় করত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। এর আগেও পর্ণশ্রী থানার পুলিশের হাতে কয়েক হাজার ভুয়া সিমকার্ড ধরা পড়েছিল। এরপর নতুন করে ফের মিলল ভুয়া সিমকার্ড চক্রের।

কয়েক মাস আগে উত্তর কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা অধ্যাপকের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে। তাঁকে KYC আপডেট করানোর নাম করে ফোন করে জালিয়াতরা। এমনকী, ওই মহিলা অধ্যাপককে তাঁর সহকর্মীদের নামও বলে জানানো হয় যে,  তাঁরাও KYC আপডেট করছেন। জালিয়াতরা তাঁর মোবাইলে একটি লিংক পাঠায়। ওই লিংকে ক্লিক করার পরই তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জালিয়াতরা তুলে নেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অগ্নিপথ নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো রুখতে কড়া কেন্দ্র, নিষিদ্ধ হল ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ]

এই ব্যাপারে গত মে মাসে শেক্সপিয়র সরণি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে প্রথমে পাঁচজনকে লালবাজারের গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন। তাদের মধ্যে রয়েছে জামতাড়ার সদস্যরাও। ধৃতদের জেরা ও তদন্ত করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অনেককেই তারা ফোন করে জালিয়াতি করছে শুধু ‘প্রি অ্যাকটিভেটেড’ জাল সিমকার্ড ব্যবহার করেই। ধৃতদের জেরা ও তাদের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, কলকাতা থেকে জামতাড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে এই জাল সিমকার্ডগুলি। এই চক্রের পান্ডা হচ্ছে পরশ মণ্ডল। কলকাতায় জাল সিমকার্ড কিনতে এসেছে, এই খবর পেয়েই তাকে জালে ফেলেন গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় দেড়শো জল সিমকার্ড। তাকে জেরা করেই সন্ধান মেলে তৌসিফ, মণিরুল ও ফরিদুলের। তাদের কাছ থেকে বাকি হাজারের উপর জাল সিমকার্ড উদ্ধার হয়।

[আরও পড়ুন: পার্কিং নিয়ে বচসা, যুবককে ধাক্কা মেরে বনেটে তুলেই ছুটল পুলিশের গাড়ি! তারপর…]

রবিবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ২৭ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের দাবি, কয়েকটি মোবাইল সংস্থার কর্মীর সাহায্য নিয়েই তারা কিনে নেয় জাল সিমকার্ড। যাঁরা সিমকার্ড কিনতে আসেন, তাঁদের কাছ থেকে ‘প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে’ বলে একাধিকবার আঙুলের ছাপ নিয়ে নেওয়া হয়। এরপরই সেই নামগুলি দিয়ে তুলে নেওয়া হয় সিমকার্ড। যাঁর নামে তোলা হয়, তিনি জানতেও পারেন না যে, তাঁর নামের একাধিক সিমকার্ড পৌঁছে যাচ্ছে অন্য ব্যক্তির হাতে। জামতাড়ার জালিয়াত-সহ অন্য অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করতে এই জাল সিমকার্ডই ব্যবহার করছে। এই জাল সিমকার্ড চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement