রাহুল চক্রবর্তী: সিপিএম, বিজেপির ঘর ঘোরা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেবে না জানিয়ে দিয়েছে। এবার তাই কংগ্রেসমুখী লক্ষ্মণ শেঠ! সব ঠিকঠাক থাকলে ইংরেজি নতুন বছরের গোড়াতেই ‘হাত’ চিহ্নের পতাকা হাতে তুলতে চলেছেন মেদিনীপুরের এক সময়ের দোর্দন্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। ২০১৪ সালে পার্টি থেকে লক্ষ্মণ শেঠকে বহিষ্কার করে সিপিএম। তারপর ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ শেষ হওয়ার আগে কেন্দ্রের শাসক দলের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হয় তাঁর। একটা সময় ভারত নির্মাণ পার্টি গঠন করেছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন লক্ষ্মণবাবু। কিন্তু নন্দীগ্রামের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠা এই নেতাকে কোনওভাবেই দলে নিতে আগ্রহী নয় তৃণমূল।
এবার তাই কংগ্রেসে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন লক্ষ্মণ শেঠ। দলীয় সূত্রে খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখা করেন। বার দুয়েক দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। কংগ্রেস লক্ষ্ণণ শেঠকে দলে নিতে আগ্রহী। বিশেষত, লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নতুন বছরের গোড়াতেই চমক দিতে চাইছে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই কংগ্রেসে যোগ দেন বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সাত্তার। এবার সিপিএমের প্রাক্তন এক নেতাকে ঘরে টানতে চাইছে বিধান ভবন। সূত্রের খবর, লক্ষ্মণ শেঠ ও প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। বিধান ভবনের এক নেতা জানিয়েছেন, লক্ষ্মণ শেঠ ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, রাহুল গান্ধীর হাত থেকে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিতে। তবে সেটার বিরোধী প্রদেশ কংগ্রেস। বিধান ভবনের নেতারা জানিয়েছেন, সোমেন মিত্র কংগ্রেসে যোগদানের সময় দিল্লি থেকে সি পি যোশী ও অম্বিকা সোনি এসেছিলেন। আবার আবদুস সাত্তার যোগদান করেন কংগ্রেসের এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ-এর উপস্থিতিতে। ফলে বিধান ভবনের নেতাদের মত, গৌরব গগৈ, সোমেন মিত্র এবং রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে যোগ দিন লক্ষ্মণ শেঠ।
আপাতত বিষয় আলোচনার স্তরে থাকলেও, তার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এদিকে ‘গুগল’-এ গিয়ে উইকিপিডিয়া সার্চ করলে পাওয়া যাচ্ছে, লক্ষ্মণ শেঠ বর্তমানে কংগ্রেসে রয়েছেন। লক্ষ্মণবাবু জানিয়েছেন, “আমি দিল্লিতে রয়েছি। কলকাতায় ফিরে আমার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করব। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.