অর্ণব আইচ: গত মে মাসে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরির৷ কিন্তু মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ধন্দে ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। দু’মাস পর, গত মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এসেছে পুলিশের। নয়া সূত্র পেয়ে, এবার জোরকদমে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ নিশ্চিত হয়ে বলছেন খুনই করা হয়েছে মৃতাকে৷
[ছাত্র আন্দোলনের চাপে নতিস্বীকার, প্রেসিডেন্সিতে মেধাতালিকা প্রকাশ]
গত ২২ মে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল পেশায় চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরিকে৷ কলকাতার মেঘনাদ সাহা সরণিতে নিজেদের বাড়িতে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন ৪৮ বছরের ওই মহিলা৷ জানা যায়, ঘটনার দিন সন্দেহজনক অবস্থায় ঘরে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির লোকেরাই৷ তাঁরাই নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সেখানে চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ মামলা রুজু হয়, রবীন্দ্র সরোবর থানায়৷ তদন্ত শুরু করেন পুলিশ৷ কিন্তু মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয় ধন্দ্ব৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছিল না পুলিশ৷ চলতি মাসের ১০ তারিখ মৃতা চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পান তাঁরা৷
[মৃত শিশুর চোখ উধাও, কাঠগড়ায় এসএসকেএম হাসপাতাল]
পুলিশ সূত্রে খবর, সেই রিপোর্ট থেকেই তদন্তে নয়া দিশা পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ তাঁদের স্পষ্ট ধারনা গলা টিপেই খুন করা হয়েছে চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরিকে৷ আর এর পিছনে রয়েছে পরিচিত কারও হাত৷ ইতিমধ্যে পুরোদমে ঘটনার তদন্তে আবারও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ আধিকারিকরা৷ খুনের পিছনে কী মোটিভ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা৷ সম্পত্তিগত কারণ নাকি ব্যক্তিগত রোষানলে খুন তা খুঁজে বের করতে চাইছে পুলিশ৷ পাশাপাশি শনিবার, স্যর সৈয়দ আহমেদ রোডে উদ্ধার হয়েছে এক কিশোরের মৃতদেহ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এন্টালি থানার পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.