রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জে পি নাড্ডার (J P Nadda) সতর্কতাতেও হল না কাজ। বঙ্গভঙ্গের দাবিতে অনড় কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তবে কি ‘বেসুরো’ তিনি? রাজনৈতিক মহলে দানা বেঁধেছে জল্পনা। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, দলের বিরুদ্ধে তিনি যাননি। শুধুমাত্র এলাকাবাসীর দাবি সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।
সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসেছিলেন জে পি নাড্ডা। বঙ্গভঙ্গের দাবি জানাতে বারণ করে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দলের সাংসদ কিংবা বিধায়ক এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ না করার কথা বলেছিলেন তিনি। শুধু নাড্ডাই নন, বুধবার রাতে নিউটাউনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও একই কথা জানিয়েছিলেন বি এল সন্তোষ। বাংলা ভাগ বিজেপি চায় না বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। তবে তাতেও উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবিতে সরব কার্শিংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার যে কিছু যায় আসে না তা স্পষ্ট। কারণ, শুক্রবার একই বিষয়ে আরও একবার মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক।
এদিন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের একটাই দাবি। আমরা পৃথক উত্তরবঙ্গ চাই। আমি এই দাবিতে আগেও সহমত ছিলাম। এখনও আছি। মোদি বলেছিলেন ভোকাল ফর লোকাল। সেই অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দারা যা চায় তাই বলছি।” বৃহস্পতিবারও একই কথা বলেছিলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি (BJP) বিধায়ক। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবিতে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বিষ্ণুপ্রসাদ বলেছিলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন না কেন আমরা আমাদের গোর্খা সম্প্রদায়ের জন্য এই দাবি আদায় করেই ছাড়ব। উনি নিজের চোখেই তা দেখে যাবেন। আমরা উত্তরের বিভিন্ন জনজাতির স্বার্থে তাদের নিয়েই আন্দোলন করব। উনি যাই বলুন না কেন পাহাড়-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে। তাই পৃথক রাজ্যের প্রয়োজন রয়েছে।”
উল্লেখ্য, পৃথক রাজ্যের দাবিতে আগেও বারবার উত্তপ্ত হয়েছে পাহাড়। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্পষ্ট করে দেন কোনওভাবেই তিনি বাংলা ভাগ হতে দেবেন না। তা সত্ত্বেও পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে এককাট্টা পদ্মশিবিরের একাংশ। আর এই দাবিকে কেন্দ্র করে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ ফাটল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.