Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রাথমিকের অযোগ্য প্রার্থীদেরও জাল মেল, ভুয়ো কাউন্সিলিং করেছিল কুন্তল! দাবি সিবিআইয়ের

চার্জশিটে আর কি জানাল সিবিআই?

Kuntal Ghosh allegedly sent fake mails to Ineligible primary candidates, CBI claims | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 10, 2023 9:22 am
  • Updated:August 10, 2023 9:22 am  

অর্ণব আইচ: আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে কুন্তল ঘোষদের বিরুদ্ধে বিকাশ ভবনে ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের অভিযোগ এসেছিল। এবার কলকাতা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলে অযোগ‌্য চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে নিয়ে গিয়ে ভুয়ো কাউন্সিলিংয়ের অভিযোগ তুলল সিবিআই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, যে মেল পাঠিয়ে ডাকা হয়েছে, সেটি জাল। ওই মেল নিয়েও সিবিআই তদন্ত করেছে। এই ভুয়ো কাউন্সিলিংয়ের পিছনেও কুন্তল ঘোষ ছিলেন বলেই অভিযোগ সিবিআইয়ের। কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উঠে এসেছে এই তথ‌্য।

সিবিআইয়ের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষক চাকরির দুর্নীতির অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ভুয়ো ফলাফল প্রকাশ করে। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রকাশ, অযোগ‌্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘ডু নট রিপ্লাই’ নামে একটি ই মেল অ‌্যাড্রেস থেকে মেল পাঠানো হয়। ওই মেলে বলা হয়, ২০১৪ টেট পরীক্ষার মেধা তালিকায় রয়েছে ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আসল মেধা তালিকা বা প‌্যানেলে ওই চাকরিপ্রার্থীদের নাম আদৌ ছিল না। এর পর অন‌্য একটি মেল অ‌্যাড্রেস থেকে ওই চাকরিপ্রার্থীদের মেল পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, কলকাতা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের দপ্তরে শিক্ষক হিসাবে তাঁদের কাউন্সিলিং করা হবে। তাই কাউন্সিলের অফিসে তাঁদের যেতে বলা হয়। সিবিআই তদন্তে জেনেছে, যে অযোগ‌্য প্রার্থীরা ওই মেলগুলি হাতে পান, তাঁরা নির্ধারিত দিনে কাউন্সিলের অফিসে উপস্থিত হন। সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব‌্যক্তি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই ব‌্যক্তিরা অযোগ‌্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নথিপত্র নেন। কয়েকটি জায়গায় তাঁদের সই করতে বলা হয়। যদিও ওই অযোগ‌্য প্রার্থীদের কাছ থেকে সিবিআই জেনেছে, বিষয়টি কাউন্সিলিং বা ইন্টারভিউ নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বোর্ড হাতছাড়া হতেই বিক্ষোভ-ভাঙচুর বিজেপির, জলপাইগুড়ির খড়িয়ায় উত্তেজনা]

পরবর্তীকালে কলকাতা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম‌্যানের সঙ্গে কথা বলেও ওই ব‌্যাপারে সিবিআই আধিকারিকরা নিশ্চিত হন। যদিও ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব‌্যক্তিরা আসলে কে, কেনই বা তাঁদের ডেকে সই করানো হল, তা নিয়ে সিবিআই রীতিমতো ধন্দে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই অযোগ‌্য প্রার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে একেকজনের কাছ থেকে তোলা হয় গড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে। নিজেদের বিশ্বাসযোগ‌্য করে তোলার জন‌্য অভিযুক্তরা ওই ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়ো মেলও পাঠান, এমনই অভিযোগ। ওই দু’টি মেল পাওয়ার পর অযোগ‌্য চাকরিপ্রার্থীরা বিশ্বাস করে নেন যে, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। যদিও সিবিআই জেনেছে, কাউন্সিলের অফিসে ‘কাউন্সিলিং’য়ের জন‌্য গিয়েই আকাশ থেকে পড়েন তাঁরা। কাউন্সিলের দপ্তরে যে অজ্ঞাতপরিচয় ব‌্যক্তিদের কথা অযোগ‌্য প্রার্থীরা সিবিআইকে জানিয়েছেন, সেই ব‌্যক্তিদের মধ্যে কুন্তল ঘোষ বা তাপস মণ্ডলের মতো কেউ ছিলেন কি না, তা নিয়ে সিবিআই প্রশ্ন তুলেছে। যেহেতু বিকাশ ভবনে অযোগ‌্য প্রার্থীদের ভুয়া ইন্টারভিউয়ের সময় শিক্ষা দপ্তরের কয়েকজন কর্তার সঙ্গে সঙ্গে কুন্তল ঘোষও উপস্থিত ছিলেন, তাই ভুয়ো কাউন্সিলিংয়ের সময় কুন্তল ঘোষের উপস্থিতি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিবিআই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement