ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হতেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন। রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। কমিশনের দাবি, দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁদের ভুয়ো ভোটার বলা যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য একাধিক শর্তের মাধ্যমে দুই ভোটারকে আলাদা করা সম্ভব। কমিশন এই বিবৃতি দিতেই পালটা প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূলও। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল।’ তাঁর আরও দাবি, ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাছতে দলে স্ক্রুটিনি কাজ যেমন চলছিল, তেমন চলবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের @MamataOfficial এর তোলা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামছে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল। এটা হল কী করে, তার সদুত্তর নেই। সব ফাঁস হয়ে যেতে… pic.twitter.com/iflwiReWAP
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 2, 2025
এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামছে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল। এসব হল কী করে, তার কোনও সদুত্তর নেই। সব ফাঁস হয়ে যেতে কমিশন কিছু পদক্ষেপ নেবে বলেছে। কিন্তু আমরা ওদের কথায় বিশ্বাস/নির্ভর করব না। দলনেত্রীর নির্দেশমত ভোটার তালিকার বুথভিত্তিক, ঠিকানাভিত্তিক স্ক্রুটিনি পুরোপুরি চলবে। কমিশনের যে খবরই সংবাদমাধ্যমে থাকুক, সন্তুষ্ট হওয়ার কারণ নেই। নেত্রীর নির্দেশমত স্ক্রুটিনির কাজ চলবে। এটা বাংলার মাটি। মহারাষ্ট্র, দিল্লির চক্রান্ত এই মাটিতে চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ওদের সব ষড়যন্ত্র ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হবে। এখন আমাদের কাজ প্রতি বুথে, প্রতি ঠিকানায় ভোটার তালিকা মিলিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। জয় বাংলা।’
ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের নাম এরাজ্যের ভোটার তালিকায় উঠে গিয়েছে। আবার এরাজ্যের বাসিন্দাদের নাম ভোটার তালিকায় ঠিকমতো নেই। তাতে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এমন অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভা থেকে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাছতে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন, যার সদস্য সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে জেলায় জেলায় ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করছেন বিধায়করা। এসবের পর এখন নির্বাচন কমিশনের সাফাই, এপিক নম্বর এক থাকার অর্থ ভুয়ো ভোটার নয়। দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.