স্টাফ রিপোর্টার: সিপিএমের চোখে তিনি ছিলেন মহাতারকা। জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ছিলেন উদ্বোধক। শেষ পর্যন্ত তিনি না এলেও তাঁকে নিয়ে মাতামাতি কম করেনি বঙ্গ সিপিএম। কয়েকদিন ধরে রাজ্য সিপিএমের মুখপত্রে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভার উদ্বোধক নীতীশ কুমার, এই বিজ্ঞাপন বড় বড় করে ছাপাও হয়েছিল। সেই নীতীশ কুমারই ডিগবাজি খেয়ে ফের এনডিএ-তে। ফের বিজেপির হাত ধরলেন তিনি। নীতীশের এই ডিগবাজির পর এখন মুখ লুকোতে ব্যস্ত আলিমুদ্দিন।
ফের ভোলবদল করে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছেন সিপিএমের চোখে মহাতারকা নীতীশ কুমার। আর এরপরই রাজ্য সিপিএমের মধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি নিউটাউনে জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কেন নীতীশকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল? পার্টির রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, “এখন মুখ লুকোতে হচ্ছে আমাদের। আর যদি সেদিন নীতীশ জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধনে চলে আসতেন, তাহলে তো মুখ পুড়ত আমাদের।” নীতীশ কুমারকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বঙ্গ সিপিএমকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। সিপিএমের দলীয় মুখপত্রে জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের ছবিটি এক্স হ্যান্ডলে তুলে ধরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘সিপিএমের টাটকা কর্মসূচি। উদ্বোধক ছিলেন নীতীশ কুমার। এসে পৌঁছননি তিনি। কিন্তু কদিন ধরে এই বিজ্ঞাপনের প্রচারে মেতেছিল সিপিএম। কমরেড, পলিটব্যুরো কী বলছে?’ টুইটে সিপিএমের দলীয় মুখপত্রে প্রকাশিত যে বিজ্ঞাপনের ছবিটি কুণাল ঘোষ পোস্ট করেছেন তাতে জ্বলজ্বল করছে নীতীশ কুমারের নাম।
সিপিএমের টাটকা কর্মসূচি।
উদ্বোধক ছিলেন নীতীশকুমার।
এসে পৌঁছননি তিনি, কিন্তু কদিন ধরে এই বিজ্ঞাপনের প্রচারে মেতেছিল সিপিএম।
কমরেড, পলিটব্যুরো কী বলছে? pic.twitter.com/dLcvbodPCR— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) January 28, 2024
কদিন আগে দলীয় অনুষ্ঠানে যাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আলিমুদ্দিন এখন আবার সংবাদমাধ্যমে সেই নীতীশ কুমারের সমালোচনায় মুখর রাজ্য সিপিএম নেতারা। গত ১৭ জানুয়ারি জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের অনুষ্ঠানে আসতে না পারার কারণ হিসাবে নিজের অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। ওইদিন আসেননি তিনি। এক সিপিএম নেতার কথায়, এমনিতেই মুখ লুকোতে হচ্ছে। আর ওইদিন যদি আসতেন তাহলে তো এখন জবাব দেওয়ার ভাষা থাকত না। চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হত।
শুধু তাই নয়, সেদিন নীতীশ কুমারের পাঠানো বার্তা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে। বঙ্গ সিপিএমে প্রশ্ন, নীতীশ কুমারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যখন প্রশ্ন থাকে তখন তাঁকে জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের অনুষ্ঠানে কেন উদ্বোধক করা হয়েছিল? পার্টির এক শীর্ষ নেতার চাপেই নাকি নীতীশ কুমারকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়েছিল। জেলা নেতারা অনেকে বলছেন, খুব জোর বাঁচা গিয়েছে। আর আলিমুদ্দিন তো মুখ লুকোতে এখন ব্যস্ত। নীতীশ প্রেমে চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ সিপিএম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.