সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা এবং চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। দলীয় অন্তর্কলহও যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙনের জল্পনা উসকে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের সদ্য জয়ী দুই সাংসদ নাকি তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন বলেই জানান তিনি। যদিও কুণালের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি থেকে দুজন নিশ্চিতভাবে যোগ দিতে চাইছেন। তাঁরা সাংসদ। একুশে জুলাই তাঁরা আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন। তাছাড়া সরাসরি আসলে, সবে নির্বাচন হয়েছে, দলত্যাগ বিরোধী আইনে কী দাঁড়ায় সেটা দেখা হচ্ছে। তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। ওদের বলা হয়েছে আপাতত বিজেপিতেই থাকতে। ভিতরে যা যা হবে, মিটিং-মিছিলে যা যা হবে জানাতে থাকো। তার পর দেখা যাবে।” কুণালের দাবি অনুযায়ী, বুধবার বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকেও নাকি ওই দুই সাংসদের থাকার কথা ছিল।
সামনেই একুশে জুলাই। শহিদ সমাবেশের মঞ্চ আগেও বহুবার অন্য দলের নেতাদের তৃণমূলে যোগদানের সাক্ষী। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। উপনির্বাচনের ফলাফলেও একশোয় একশো। সবুজ ঝড়ে কার্যত পর্যুদস্ত পদ্মশিবির। এই পরিস্থিতিতে একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে স্বাভাবিকভাবেই জোর চাপানউতোর। যদিও গেরুয়া শিবির কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাতেই নারাজ। ভাঙনের জল্পনা কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগে একুশে জুলাই পার হোক, তার পর আমরা দেখব।” যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুকান্ত মুখে যা-ই বলুন না কেন, কোন্দল কাঁটায় জর্জরিত বিজেপি তৃণমূল নেতার এই দাবিতে যথেষ্ট চাপে পড়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.