ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গরম পড়তেই বিজেপি জোট সরকার শাসিত মহারাষ্ট্রে তীব্র জলসংকট। বিজেপি শাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ব্যর্থতার সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন খোদ বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়াতেই পালটা পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। গ্রামেগঞ্জে সেই প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাংলার জলসংকট অনেকটাই কমে গিয়েছে মতে ওয়াকিবহাল মহলের। মহারাষ্ট্রের জলসংকট মেটাতে বাংলার সেই প্রকল্প ওই রাজ্যে চালু করতে দিলীপকে পথ বাতলে দিলেন কুণাল।
বঙ্গ বিজেপির রাজনীতিতে প্রকাশ্যে তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না দিলীপ ঘোষকে। শনিবার তিনি দলের এক কর্মীকেই বিবাহ করেছেন। তারপর থেকেই তিনি চর্চায় রয়েছেন, মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। সেই চর্চার মধ্যেই দিলীপ সোশ্যাল মিডিয়ায় মহারাষ্ট্রের নাসিকের জলসংকটের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনা। কারণ, মহারাষ্ট্রে শিন্ডে শিবির, এনসিপি (অজিত পাওয়ার)- এর সঙ্গে জোট সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। সেই রাজ্যেই জলসংকটের বিষয়টি দিলীপ সামনে এসেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নাসিকের বারিচিওয়াদি এলাকায় একটি কুয়োতে এক মহিলা পানীয় জল সংগ্রহের জন্য দড়ি ধরে নীচে নামছেন। আরও অনেক সাধারণ মানুষ কুয়োর ধারে ভিড় করে আছেন। সম্ভবত তাঁরাও পানীয় জল সংগ্রহের অপেক্ষায়। মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত এলাকায় পানীয় জলের সংকট গরম পড়তেই তীব্র হয়। তেমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু দিলীপ ঘোষ এই ভিডিও শেয়ার করে জলসংকট কথা পোস্ট করেছেন! সেটি অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
জরুরি পোস্ট দিলীপ ঘোষের।
গরম পড়তে না পড়তেই বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে জলসঙ্কট। মহিলাদের গভীর কুয়োতে নামতে হচ্ছে। ওই সরকারকে বলুন @MamataOfficial র বাংলার মত ‘জল ধরো জল ভরো’ বা আরও নিবিড় জলসরবরাহ বা বাড়ি বাড়ি জলের প্রকল্প চালু করতে। https://t.co/HeEzkhjgOZ— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 21, 2025
আর সেই বিষয়েই পালটা পরামর্শ দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। বাংলাতেও বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গ্রামেগঞ্জে জলসংকট ছিল। পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে জলসংকট মেটানোর দিকেও নজর দেন। বৃষ্টির জল ধরে রেখে পরে তা ব্যবহারের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প বাংলায় চালু হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জল ধরে রাখার কাজ চলতে থাকে। পুকুর, জলাশয়ও খনন করা হয়। আর সেই প্রকল্পই গ্রামেগঞ্জে সাফল্য এনে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের কাজও চলছে রাজ্যে। সেই প্রকল্পও প্রভূত সাড়া ফেলেছে রাজ্যে। চাষবাস তো বটেই, গ্রামের মানুষের পানীয় জল সঙ্কটও প্রায় নেই বললেই চলে। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের। আর সেই কথাই দিলীপ ঘোষকে মনে করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি নিজের সামাজিক মাধ্যমে দিলীপ ঘোষের পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, “জরুরি পোস্ট দিলীপ ঘোষের। গরম পড়তে না পড়তেই বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে জলসংকট। মহিলাদের গভীর কুয়োতে নামতে হচ্ছে। ওই সরকারকে বলুন @MamataOfficial-র বাংলার মত ‘জল ধরো জল ভরো’ বা আরও নিবিড় জলসরবরাহ বা বাড়ি বাড়ি জলের প্রকল্প চালু করতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.