ছবি: সায়ন্তন ঘোষ।
স্টাফ রিপোর্টার: আর জি কর ইস্যুতে সোশাল মিডিয়ায় বিরোধীদের কুৎসার পালটা প্রচারে তৃণমূলের বহু সাংগঠনিক নেতা, মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি সক্রিয় নন কেন, রবিবার তা নিয়ে সামনাসামনি সমর্থকদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কুণাল ঘোষ, অরূপ চক্রবর্তী, ঋজু দত্তর মত নেতারা। এক অনুষ্ঠানে একের পর এক সমর্থক প্রশ্ন করে বলেন, “আমরা নিজেদের উদ্যোগে ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল, ইউ টিউবে বিরোধীদের কুৎসার কাউন্টার করি। অথচ অনেক পদে থাকা নেতা কোনও পোস্ট করেন না। আজকের দিনে সোশাল মিডিয়ার যুগে এই প্রচারে নামাটা খুবই দরকার।”
পর পর এই ধরণের প্রশ্ন আসার পর উত্তর দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আপনাদের আবেগ সঠিক। কমিটি গঠন, পদ নেওয়া বা জনপ্রতিনিধি হওয়ার সময় যাঁরা লাইন দিয়ে লবি করেন, তাঁরাও অনেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট শেয়ার বা রিটুইট করেন না। নিজে থেকে দলের হয়ে কিছু লেখা তো দূরের কথা। দল বললে কোনও কর্মসূচিতে থাকেন। তার বাইরে কুম্ভকর্ণ হয়ে ঘুমোন।” কুণাল বলেন,”আর জি করে আমরাও দোষীর ফাঁসি চাই। কিন্তু এনিয়ে বামরামের চক্রান্তের বিরোধিতা করতে হবে। অজস্র ফেক নিউজ দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করা হচ্ছে। তার পালটা আসল তথ্য, যুক্তি দিতেই হবে সমাজমাধ্যমে। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এটা দায়িত্ব। সমর্থকরা অনেকেই নিজে থেকে দারুণ কাজ করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “হয়তো কিছু মানুষ আবেগে বিরোধীদের প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে ভুল বুঝছেন। আমাদেরই এর আসল কথাগুলো মানুষকে বলতে হবে। নেত্রী ও অভিষেক দোষীর মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন। বিরোধীরা তদন্ত ছেড়ে নবান্ন লক্ষ্য করে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের নিবিড়, তীব্র প্রচার বাড়াতে হবে।” ঋজু দত্তও সমর্থকদের অভিযোগে একমত হন। এন কে ডিজিটাল আয়োজিত এই সভায় ছিলেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুবনেতা কৈলাশ মিশ্র, প্রবীর বিশ্বাস প্রমুখ। হাওড়ার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.