সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের চা, ফিশফ্রাই, নয়না ‘বউদি’র হাতে তৈরি নাড়ু এবং জলভরা সন্দেশেই মিটল ‘তিক্ততা’! সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চা-বৈঠক সেরে বেরিয়ে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “পরিবার একটাই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কুণাল। আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতা থেকে যাতে সুদীপ তৃণমূলের প্রার্থী না হন, তার দাবিও জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে তিক্ততা বেড়েছিল। কুণাল প্রকাশ্যে সরব হলেও ‘চুপ’ ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ। ‘তিক্ততা মেটাতে’ ফোন করে ‘চায়ে পে চর্চা’য় তাঁকে ডাকেন সুদীপ। এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “সুদীপদা আমাকে ফোন করেছিলেন। আজ চা খেতে ডেকেছেন। আমি যাব।” সন্ধে সাতটার কিছু পরে সুদীপ-নয়নার এন্টালির বাড়িতে ঢোকেন কুণাল। সেখানে প্রায় দুঘণ্টার ‘আড্ডা’ হয়। সুদীপ, নয়না, কুণাল ছাড়াও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তার পরই মিলল বরফ গলার ইঙ্গিত।
বৈঠকের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া না মিললেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। বলেন, “সুদীপদার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে যাতে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি, কমিউনিকেশন গ্যাপ না থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবারের মধ্যে মান-অভিমান থাকে, ভুল বোঝাবুঝি থাকে, কিন্তু পরিবার ছেড়ে কেউ যায় না। যে বিষয়গুলি ছিল সেগুলি মেরামতি নিয়ে কথা হয়েছে।” তবে সবশেষেও উত্তর কলকাতার প্রার্থী নিয়ে ‘অন্য’সুর রয়েই গেল তাঁর গলায়। বললেন, “১৯৯৮ সালে যে ১০ জন প্রার্থীর নাম মমতাদি বলেছিলেন তার মধ্যে নয়নার নাম ছিল। আমি মনে করিয়ে দিয়ে এলাম, উত্তর কলকাতার প্রথম প্রার্থী তো নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের হওয়া উচিত।”
এ প্রসঙ্গে উঠে আসে তাপস রায়ের দলছাড়ার বিষয়টিও। এ ব্যাপারে ‘তৃণমূলের সৈনিক’ কুণাল বলেন, “তাপস আমার দাদার মতো। ওঁকে মিস করব। অনুরোধ করব, অন্য দলে যাবেন না। কিছুদিন বিশ্রাম করুন।” তাঁর আরও সংযোজন, অন্য রাজনৈতিক মঞ্চে গেলে দুরত্ব আসে। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে যেন রাজনীতির কালো মেঘ না আসে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.