সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ খুলে শাসকদলের নিশানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন, বিচারপতির চেয়ারকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন বিচারপতি। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে কুণালের আর্জি, ওনাকে হাই কোর্ট থেকে বের করে সিপিএমের ব্রিগেডে রেখে আসা উচিত।
রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির(Sandeshkhali) সরবেড়িয়া। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি (ED) আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও হামলার মুখে প্রায় পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
সন্দেশখালির সেই দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে দেখে নিজের এজলাসে বসে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কেন এখনও রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না যে, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? যদি তদন্তকারীরাই মার খান, তাহলে তদন্ত হবে কী করে?” এখানেই শেষ নয়, শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে বন্দুক থাকে না? চালাতে পারেন না?” বিচারপতির এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের তরফে। কুণাল ঘোষ রীতিমতো চড়া সুরে পালটা বিঁধেছেন তাঁকে।
কুণালের বক্তব্য,”চেয়ারটা বিচারপতির, কণ্ঠটা বিরোধীদের। উনি প্রশ্ন করার কে? ওনার নেতা সাজার ইচ্ছে হলে হাইকোর্টের বাইরে টুলে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিন।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের সাফ কথা, “এই ধরনের কিছু বিচারপতির জন্যই বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা আজ প্রশ্নের মুখে। মুখোশ পরে খেলছেন কেন? প্রকাশ্যে মাঠে এসে খেলুন।” এরপরই কটাক্ষের সুরে কুণাল বলেন,”আমি মনে করি, এই ঘটনার পর প্রধান বিচারপতির উচিত ওঁকে হাইকোর্ট থেকে বের করে রবিবার সিপিএমের (CPIM) ব্রিগেডে ছেড়ে দিয়ে আসা”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.