Advertisement
Advertisement

স্ত্রীর শ্লীলতাহানি রুখতে চোখ ফাটল সার্জেন্টের

দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়৷

KP traffic sergeant assaulted, one arrested
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 10, 2016 5:14 pm
  • Updated:December 10, 2016 5:14 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রীর শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে চোখ ফাটল কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্টের৷ শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিঁথির মোড়ের কাছে৷ এই ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করতে পারলেও এখনও পলাতক তিন যুবক৷ তাদের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে৷

শুক্রবার রাতে কড়েয়া এলাকা থেকে দমদমের বাড়িতে ফিরছিলেন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী৷ অভিযোগ, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সিঁথির মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শৈবালবাবু৷ সেই সময় ট্রাফিক সিগন্যাল লাল হওয়ায় তিনি মোটরবাইক থামিয়ে সিগন্যাল সবুজ হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকেন৷ সেই সময়ই পিছনে এসে দাঁড়ায় একটি মোটরবাইক৷ সেই বাইকেই বসে ছিল এক যুবক৷ পুলিশকর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মধ্যরাতে দেখতে পেয়ে হিন্দি গান জুড়ে দেয় ওই যুবক৷ বিষয়টি ভাল না লাগাতেই ওই যুবককে শৈবালবাবু জিজ্ঞাসা করেন, এটা কী হচ্ছে? এরপরই শৈবালবাবু ও তাঁর স্ত্রীর উদ্দেশে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে রাজু লোধ নামে ওই যুবক৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই রাজু লোধ ট্রাফিক আইন ভেঙে সামনে কাশীপুর থানার উল্টো দিকে একটি পান-সিগারেটের দোকানে গিয়ে দাঁড়ায়৷ শৈবালবাবু সিগন্যাল সবুজ হওয়ার পর ওই অভিযুক্তর পিছু ধাওয়া করে ওই দোকানে এসে পৌঁছন৷

Advertisement

এরপরই তিনি মোটরবাইক থেকে নেমে ওই যুবকের দিকে এগিয়ে যান৷ তিনি ওই যুবককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশের কাছে দেবেন বলেন৷ এই কথা শুনতেই সেখানে উপস্থিত রাজু লোধ ও তার আরও তিন বন্ধু চড়াও হয় শৈবালবাবুর উপর৷ এরপরই শুরু হয় বেদম প্রহার৷ একই সঙ্গে শৈবালবাবুর স্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে৷ পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে দেখেই দৌড়ে কাশীপুর থানায় যান শৈবালবাবুর স্ত্রী৷ সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের পরিচয় দিয়ে ডেকে আনে৷ পুলিশ আসতে দেখেই চম্পট দেয় অভিযুক্তরা৷ কাশীপুর থানার পুলিশের সাহায্যে কোনওক্রমে রক্ষা পান শৈবালবাবু ও তাঁর স্ত্রী৷ এরপরই চিৎপুর থানায় স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷

রাতেই এই খবর পৌঁছয় লালবাজারের শীর্ষকর্তাদের কানে৷ চিৎপুর থানাকেও দ্রুত অভিযুক্তদের ধরার নির্দেশ পৌঁছয় সেখানে৷ একই সঙ্গে কাশীপুর থানকে সতর্ক করা হয়৷ রাতভর তল্লাশির পর রাজু লোধ নামে এই ঘটনার মূল অভিযুক্তকে ধরে ফেলে কাশীপুর থানার পুলিশ৷ এরপরই তাঁকে তুলে দেওয়া হয় চিৎপুর থানার হাতে৷ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই ঘটনায় বাকি তিন অভিযুক্তর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ শৈবালবাবু জানান,“গতকাল রাতের ঘটনার ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি৷ পরিকল্পনা ছিল বাড়িতে ফিরে এক সঙ্গে নৈশভোজ করব৷ কিন্তু তার আগেই এই ঘটনা ঘটে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement