Advertisement
Advertisement

রাম মন্দির আন্দোলনে ‘প্রথম শহিদ’, অযোধ্যার গলিতেই প্রাণ দিয়েছিলেন বাংলার দুই ভাই

রায়ের প্রতীক্ষায় পরিবার।

Kothari Brothers Who Laid Down Their Lives for Ram Mandir
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 9, 2019 9:42 am
  • Updated:November 9, 2019 4:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহর। ঘিঞ্জি গলি আর জরাজীর্ণ বাড়ি নিয়ে যেন এক টুকরো জীবন্ত ইতিহাস। খানিকটা দুলকি চালে চলা শহরটির বাসিন্দাদের তেমন তাড়া নেই। ‘চায় লাও’ বলে বসে পড়লেই হল। এহেন শহরে পা রেখে ‘শহিদ গলি’র ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে, একবাক্যে উত্তর তো পাবেনই, উপরি পাওনা হিসেবে মিলবে গল্পও। তবে এতো ভনিতা করার কারণ এই যে, ওই একফালি জায়গায় গেলে আজও শুনতে পাবেন ‘বঙ্গাল সে আয়ে থে দো ভাই। ইয়াহি গোলি মারি থি পুলিশনে।’

গোটা ঘটনা খোলসা করে বলতে গেলে চলে যেতে হয় ১৯৯০ সালের ২ নভেম্বর। ওই দিনই বাবরি মজসিদ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে স্থিত হনুমান গড়ি মন্দিরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার করসেবক। বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম রথ যাত্রার আবেদনে সাড়া দিয়ে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি জানাতে জড়ো হয়েছিলেন করসেবকরা। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কলকাতার বড়বাজার এলাকার দুই ভাই- রাম ও শরদ কোঠারি। তারপরই সেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। জানা যায়, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশ ছিল যে কোনও মূল্যে যেন করসেবকদের আটকানো হয়। প্রয়োজনে গুলিও চালানোর নির্দেশ ছিল পুলিশকর্মীদের উপর। এদিকে, বাবরি মসজিদের দিকে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছিলেন করসেবকরা। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে ভজন শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় নির্বিচারে করসেবকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশবাহিনী। ওই ঘটনায় ১৬ করসেবক-সহ মৃত্যু হয় কোঠারি ভাইদেরও। বাকিটা ইতিহাস। রাম মন্দিরের জন্য প্রথম রক্ত দেয় বাংলার দুই সন্তান। তাঁদের সম্মানে ওই গলির নাম রাখা হয় শহিদ গলি। 

Advertisement

এদিকে, শুক্রবার থেকেই অযোধ্যা-ফৈজাবাদ থেকে শুরু করে গোটা দেশে ব্যাপক সতর্কতামূ্‌লক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। গতকাল রাতে বেশ কয়েকটি টুইট করে শান্তি রক্ষার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেন, “অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেবে তার সঙ্গে জয়-পরাজয়ের কোনও যোগ নেই। দেশের শান্তি, একতা ও সম্প্রীতিকে শক্তিশালী করাই দেশবাসীর একমাত্র কর্তব্য।” পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক খুলে ফেলেছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। আজ উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও রাতে নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের সতর্কতা রক্ষার বার্তা পাঠানো হয়েছে। অযোধ্যার আশপাশে রাত থেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বিশেষ ড্রোন ওড়ানো শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নিয়েও সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলা LIVE: আর কিছুক্ষণ পরেই রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের, কড়া নিরাপত্তা উত্তরপ্রদেশে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement