অভিরূপ দাস: নিঃসন্তান দম্পতির মুখে হাসি ফোটানোর প্রক্রিয়া ইন-ভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন (In vitro fertilization)। বিপুল খরচ বহুল সে প্রক্রিয়া এবার সরকারি পরিসরে। যেখানে কার্যত বিনামূল্যে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে মা-বাবা হতে পারবেন নিঃসন্তান দম্পতিরা। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ঘোষ দস্তিদার ইনস্টিটিউট অফ ফার্টিলিটি রিসার্চ (Ghosh Dastidar Institute for Fertility Research) আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে উঠছে এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘোষ দস্তিদার ইনস্টিটিউট অফ ফার্টিলিটি রিসার্চের অধিকর্তা ডা. সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁর সাহায্য ছাড়া এই সেন্টার গড়ে তোলা সম্ভব হত না।
ইন-ভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন (IVF) প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এই জৈব প্রক্রিয়ায় শুক্রাণু ও ডিম্বাণুকে ভ্রূণ তৈরির জন্য একটি পরীক্ষাগারে মিলিত করা হয়। এরপর সেই ভ্রূণকে গর্ভে ধারণ করানোর জন্য সার্ভিক্সের মাধ্যমে সেটিকে জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। অত্যন্ত জটিল এই প্রক্রিয়া সফল করার জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা জরুরি। প্রাথমিকভাবে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM) চিকিৎসকদের সেই প্রযুক্তিই শেখাবে ঘোষ দস্তিদার ইনস্টিটিউট অফ ফার্টিলিটি রিসার্চ।
সরকারি পরিকাঠামোয় বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার এমন প্রকল্প শুরু হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্পের সঙ্গে বহু নিঃসন্তান দম্পতির আবেগ জড়িত। শত চেষ্টার পরেও সন্তান না হলে শেষ ভরসা হয় আইভিএফ পদ্ধতি। কিন্তু দরিদ্র নিঃসন্তান দম্পতিদের পক্ষে বেসরকারি পরিকাঠামোয় সেই চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করা সম্ভব হয় না। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাবে এই প্রকল্প।
বছরখানেক ধরেই এসএসকেএমে খোলার প্রক্রিয়া চলছিল। বুধবারই চূড়ান্ত হয় এই প্রক্রিয়া। যন্ত্র কেনার কাজ রয়েছে। ২০২২-এর শুরু থেকেই কাজ শুরু করবে। ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন দ্রুত দরিদ্র দম্পতিদের জন্য আইভিএফ চিকিৎসার সেন্টার খুলতে হবে। তারপর থেকেই আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। টেন্ডার করে সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শুধু নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তান উপহার দেওয়াই নয়, সেই সন্তানের প্রাথমিক দেখভালের ব্যবস্থাও থাকবে এসএসকেএমের এই উৎকর্ষ কেন্দ্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.