Advertisement
Advertisement
গোষ্ঠী সংক্রমণ

‘কলকাতায় এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি’, দাবি স্বরাষ্ট্র সচিবের

কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২।

Kolkata's number of containment zone increases in last 48 hours
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 19, 2020 9:00 am
  • Updated:July 19, 2020 9:03 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন ২১০০-র বেশি মানুষ। রাজ্যের করোনা (Coronavirus) গ্রাফ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে প্রতিদিন। তার ফলে অনেকেই বলছেন, হয়তো গোষ্ঠী সংক্রমণের ফলে এমন উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পারদ। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) সেকথা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, কলকাতায় এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। 

এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ‌্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ফ্ল‌্যাট বাড়ির বাসিন্দা। গোষ্ঠী সংক্রমণ হলে বসতিতে আক্রান্তের সংখ‌্যা বাড়ত। রাজ্যে এদিনই নতুন কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা এসেছে। দেখা যাচ্ছে ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২। নতুন করে কলকাতায় ৯টি জায়গাকে কনটেনমেন্ট জোন বলা হয়েছে। সেগুলি হল: বেলেঘাটা সিআইটি রোডের একটি আবাসন, চাউলপট্টির একটি বস্তি, মতিলাল বসাক লেনের বাড়ি ও আবাসন, রাজা গোপীমোহন স্ট্রিট ও কৈলাস বোস স্ট্রিট।  পরে জানান, শহরে ২৮ জুন থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত বসতি বাড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৪। পাকাবাড়িতে ১২০০ আর ফ্ল্যাটবাড়িতে ১৪০০। স্বরাষ্ট্রসচিবের কথায়, বসতি বাড়িতে নজরদারি করতে পারছে পুরসভা। কিন্তু সম্পন্ন গৃহস্থ বাড়িতে পুরসভার লোকেদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই বাড়ছে সংক্রমণ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আত্মহত্যা করতে চলেছি’, ফেসবুক পোস্টের সূত্রে যুবককে বাঁচাল পুলিশ]

যদিও আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখেও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। দশ দফা যুক্তি দিয়ে শনিবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন কেন আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তাঁর যুক্তি, এই মুহূর্তে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ৬৬০ জনের অবস্থা সিরিয়াস। একটু কম সিরিয়াস আরও ১২৫০ জন। সাকুল্যে প্রায় এই ১৯০০ মানুষের জন্য চিকিৎসকরা দিনরাত এক করে খাটছেন। সঙ্গে আগামী এক মাসে হাসপাতালের শয্যা আরও পাঁচ হাজার বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন।  তবে সংক্রমণ বাড়ার ফলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন হয়তো আবারও লকডাউনের পথেই হাঁটবে রাজ্য সরকার। যদিও সেই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে কঠোর নজরদারি চালানো হবে। তবে এখনই লকডাউনের কোনও ভাবনাচিন্তা করেনি নবান্ন। 

[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতে ভারচুয়াল শুনানিই ভরসা, উন্নতমানের HD ক্যামেরা কিনছে হাই কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement