কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: লকডাউনে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন বধূ। খোঁজ মিলছিল না চিকিৎসকের। সমস্যার কথা জানতে পেরেই ওই বধূর পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। পরিবারের অনুরোধে ওই বধূর কন্যাসন্তানের নামকরণও করলেন তিনিই। নাম রাখলেন ‘মমতা’।
নারায়ণপুরের বিদ্যাসাগর মাতৃসদনে ভরতি ছিলেন ওই প্রসূতি। শনিবার আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল তাঁর। সেই সময় হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। খবর পেয়ে সেখানে যান বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। নিজের গাড়িতে ডাক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। ব্যবস্থা করেন চিকিৎসার। সুস্থ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই বধূ। ঘটনাচক্রে রবিবার ওই বধূ ও সদ্যোজাতকে দেখতে যান তাপসবাবু। সেই সময় তাঁর পরিবারের অনুরোধে তাপসবাবু খুদের নাম রাখেন মমতা।
তাপসবাবু জানান, রবিবার রাতে মাতৃসদনেই আরেক প্রসূতিকে জরুরি বিভাগে ভরতি করা হয়। রাতে তিনি সন্তানের জন্ম দেন। তবে এক্ষেত্রে মা সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও ছয় মাসে প্রসব হওয়ায় সদ্যোজাতকে পাঠানো হয়েছে কলকাতার শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর এই মাতৃসদন হাসপাতাল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর এই করোনাপর্বে ছ’বছর পর দু’দিনে দুই সন্তানের জন্ম হল এই হাসপাতালে।
কার্যত এরকমই ঘটনা ঘটেছে সোমবার নিউটাউনে। এদিন এক প্রসূতির আচমকাই যন্ত্রণা শুরু হয়। করোনার জেরে চারিদিকে লকডাউন চলছে, এই অবস্থায় কোথায় মিলবে গাড়ি? একথা ভাবতে ভাবতেই নিউটাউন CE ব্লকের এক নির্মীয়মাণ বাড়ির কেয়ারটেকার বিধাননগর কমিশনারেটের ‘সহায়ক যান’ পরিষেবা কেন্দ্রে গাড়ি চেয়ে ফোন করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। তাঁদের সহযোগিতায় প্রসূতিকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার বিকেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই বধূ। মা এবং সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছে বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.