ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যে ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue)। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণহানিও নেহাত কম হচ্ছে না। ফের কলকাতায় প্রাণ গেল এক ডেঙ্গু আক্রান্তের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব মৃতের পরিবারের লোকজন।
মৃত শুভ ব্রহ্ম, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্বপুটিয়ারির বাসিন্দা। দিনদুয়েক আগে জ্বর হয় তাঁর। দক্ষিণ কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। বুধবার রাতে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শুভ ব্রহ্মর। যুবকের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই প্রাণ গিয়েছে শুভর। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ মানতে নারাজ।
দিনকয়েক আগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার ধাঁচে সব জেলায় ডেঙ্গু কল সেন্টার চালু, ডেঙ্গু মোকাবিলায় যুক্ত সব সরকারি কর্মীদের পুজোর ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
কোভিড ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সময় স্বাস্থ্যভবনে ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার খোলা হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ের মতো এবার ডেঙ্গু রোগীদের শারীরিক অবস্থা জানতে প্রতিটি জেলায় কলসেন্টার চালু করতে প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে অন্তত পাঁচ ইউনিট প্লেটলেট আলাদা করে মজুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ডেঙ্গু মনিটরিং টিম তৈরি হচ্ছে। কোন চিকিৎসক কোন হাসপাতালে যাবেন তার সাপ্তাহিক শিডিউল তৈরি করা হচ্ছে। ওষুধের দোকান থেকে প্যারাসিটামল কেনা হলে ক্রেতার মোবাইল নম্বর লিখে রাখতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দপ্তর যোগাযোগ করে জানবে ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ রয়েছে কি না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.