Advertisement
Advertisement
Kolkata Covid situation

হাসপাতাল থেকেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু বাবার, চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে সরব মেয়ে

বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ মেয়ে হাজরার সুব্রত কুমার বসুর মেয়ে সুচরিতা।

Kolkata Woman alleges her father get Covid positive from hospital and died after that | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:June 10, 2021 9:20 pm
  • Updated:June 10, 2021 9:20 pm  

অভিরূপ দাস: করোনা (Corona Virus) আবহে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছিলেন দক্ষিণ কলকাতার হাজরার বাসিন্দা প্রৌঢ় সুব্রত কুমার বসু। সবসময় হাত ধুতেন সাবান দিয়ে। পারতপক্ষে বাইরে বেরোতেন না। সেই সুব্রতবাবুই মারা গেলেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। কন্যা সুচরিতা বসুর অভিযোগ, হাসপাতাল থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন বাবা। শুধু তাই নয় চিকিৎসক সুজয় সামন্তের বিরুদ্ধেও রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল জ্বর আসে সুব্রতবাবুর। সঙ্গে অসহ্য দুর্বলতা। তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কোভিড (COVID-19) টেস্ট করিয়ে দেখা যায় রিপোর্ট নেগেটিভ। ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণে টানা ১২ দিন ICU-তে রাখা হয় তাঁকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ICU-তে থাকা অবস্থাতেও চিকিৎসক সুজয় সামন্ত ভিজিটে আসতেন না। তাঁর জায়গায় অন্য চিকিৎসকরা সেই কাজ করতেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নাম ভাঁড়িয়ে নিউটাউনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় সুমিত কুমার, গ্রেপ্তারির পর মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]

কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকেন সুচরিতা। সেসময় কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁর কথায়, “বাবার সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক নেমে গিয়েছিল। সে বিষয়ে চিকিৎসক রক্তিম দে-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন, রোগীর বিষয় বিস্তারিত তথ্য শুধুমাত্র সুজয়বাবুই দিতে পারবেন।” ৭ মে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় সুব্রতবাবুকে। সে সময়ও তার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা ছিল অত্যন্ত কম। মৃতের পরিবারের প্রশ্ন, পটাশিয়াম লেভেল এত কম থাকার পরেও কেন ছুটি দেওয়া হল হাসপাতাল থেকে। এদিকে বাড়িতে পৌঁছেও আরেক বিপদ।

ফের জ্বর আসে সুব্রতবাবুর। ওই হাসপাতালে ফোন করা হলে তারা রোগীকে কোভিড প্রোটোকলের ওষুধ ডক্সিসাইক্লিন খাওয়াতে বলে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। উত্তরোত্তর শরীর খারাপ হচ্ছিল। বাধ্য হয়েই পুনরায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় রোগীকে। এবার কোভিড টেস্ট করাতে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ! ১৪ মে মারা কোভিড আক্রান্ত হয়েই মারা যান সুব্রত বসু। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর ৪৮ ঘন্টাও হয়নি, তার মধ্যেই কোভিড পজিটিভ!

এই সময়সীমা উল্লেখ করেই মৃতের পরিবারের প্রশ্ন, হাসপাতাল থেকেই সংক্রামিত হয়েছিলেন সুব্রতবাবু। এর দায় হাসপাতাল ছাড়া আর কে নেবে? এই অভিযোগের শুনানি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে সুচরিতাকে। সে চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনও হাসপাতালের পক্ষ থেকেই সংক্রমণকে একটা ছোট্ট পরিসরে বেঁধে রাখা অসম্ভব। সুব্রতবাবু সিওপিডি বা ক্রনিল অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এর রোগী ছিলেন। কমিশনের বক্তব্য, বাড়ি থেকে না বেরিয়েও অনেকে কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে একজন ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত হতেই পারেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা নেই সংক্রমণকে ঠেকানোর। কোন উপসর্গহীন ব্যক্তির থেকে সুব্রতবাবুর সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা খুঁজে বের করা কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছে কমিশন। সুব্রতবাবুর কন্যার আফশোস, “বাবা অতিরিক্ত সাবধানতা মেনে চলত। তাঁর সঙ্গেই এমনটা হল!”

[আরও পড়ুন: ‘বোধোদয় হয়েছে, ভাল লক্ষণ’, ‘ছোট ভাই’ বলে রাজীবের পাশে দাঁড়ালেন ফিরহাদ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement