অর্ণব আইচ: সাতসকালে ফের মৃতদেহ ভেসে উঠল বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরে। বুধবার লেকের জলের এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে ফুলবাগান থানার পুলিশ। তবে মৃতের যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[মেটিয়াবুরুজে নিখোঁজ কিশোরীকে নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ লালবাজারের]
খাতায় কলমে রাজ্য স্পোর্টস কাউন্সিলের সাঁতার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এখানে নিয়মিত অনুশীলন করেন স্পোর্টস কাউন্সিল স্বীকৃত বিভিন্ন ক্লাবের সাঁতারুরা। তবে বেলেঘাটা অঞ্চলের এই লেকটি সুভাষ সরোবর নামেই বেশি পরিচিত। প্রতিদিন সকালে সুভাষ সরোবর লাগোয়া এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ছয়টা নাগাদ যখন সুভাষ সরোবরের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা, তখন তাঁরা দেখতে পান, লেকের জলে একটি মৃতদেহ ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় সুভাষ সরোবরের নিরাপত্তারক্ষীদের। খবর পৌঁছয় ফুলবাগান থানায়ও। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি একটি যুবকের। মৃত যুবকের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তবে তাঁর নাম বা পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। কিন্তু, মৃতদেহটি সুভাষ সরোবরে এল কী করে? এটি খুন না আত্মহত্যা? তা খতিয়ে দেখছে ফুলবাগান থানার পুলিশ।
[ভবানী ভবনে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশ আধিকারিকের, কারণ ঘিরে জল্পনা]
তবে বেলেঘাটার সুভাষ সরোবর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। গত বছরের জুন মাসে মধ্য কলকাতার এই লেক থেকে আশিস সর্দার নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। বারবার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সুভাষ সরোবরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। বস্তুত, দিন কয়েক আগে এই সুভাষ সরোবর এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে গ্রেনেড উদ্ধারের খবর তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শহরে। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও গ্রেনেড পায়নি পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল এক ডেড শেল। তদন্তকারীদের ধারণা, অনেক দিন আগেই হয়তো কেউ ডেডশেলটি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল বম্ব স্কোয়াডও। তবে শেলটি ডেড হওয়ার বোমা নিষ্ক্রিয় করার প্রয়োজন হয়নি।
[শাপমুক্তির শপথ নিয়ে এবার পাটুলিতেও নচিকেতার চা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.