Advertisement
Advertisement

আপনি কি প্রজননে সক্ষম? রূপান্তরকামী চাকরিপ্রার্থীকে প্রশ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের

যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি জুটছে না, অনাহারে দিন কাটছে পরিবারের৷

Kolkata: Transgender teacher recalls horror at school interviews
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 20, 2018 2:31 pm
  • Updated:June 20, 2018 2:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক পদে ইন্টারভিউ চলাকালীন রূপান্তরকামী শিক্ষিকাকে স্তন, যৌন আবেদন ও প্রজননে সক্ষম কিনা জানতে চেয়ে বিতর্কে জড়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রসঙ্গ এড়িয়ে লাগাতার ‘যৌনতা’র নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন ‘নির্যাতিতা’ শিক্ষিকা সুচিত্রা দে৷

সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা দে বলেন, ‘‘প্রিন্সিপ্যাল আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি যৌনতার পর সন্তানধারণ করতে পারব কিনা৷ অন্য একটি স্কুলের তরফে আমাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ করতে হলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে, আমি স্ত্রী না পুরুষ৷ তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, আমাকে কাজ দেবেন কিনা৷’’

Advertisement

[নীল সাদার বদলে এবার গেরুয়া হচ্ছে ভারতীয় রেল, শুরু রং বদলের কাজ]

খাস শহর কলকাতায় এহেন ঘটনার শিকার হয়ে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ শিক্ষকতার জীবনে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বছর ৩০-এর হিরন্ময়৷ গত বছর তিনি তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করেন৷ আইনিভাবে হিরণ্ময় থেকে সুচিত্রা দে নামে পরিচিত হতে শুরু করেন তিনি৷ কিন্তু, আইনি আধিকার মিললেও নতুন জীবনে লড়াইয়ে পদে পদে আঘাত পেয়েছেন তিনি৷ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ও দু’বার স্নাতকোত্তর পাশ করা (‌ইংলিশ এবং ভূগোল)‌ এবং বিএড ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও নিয়ে চাকরির পরীক্ষায় গিয়েও সেই একইভাবে হেনস্তার শিকার রূপান্তরকামী এই শিক্ষিকা৷

২০১৪ সালেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশানুসারে রূপান্তরকামীদের জন্য আলাদা ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ বিভাগ তৈরি করা হয়৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সাফ জানানো হয়েছে, রূপান্তরকামীরা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্মানের সঙ্গে পড়াশোনাও করতে পারবেন তাঁরা৷ অভিযোগ, শহর কলকাতার একাধিক স্কুলে চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বারংবার ‘যৌনতা’ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে৷ লাগাতার এই ঘটনার শিকার হওয়ার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে সুচিত্রা দে মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ মানবাধিকার কমিশনের তরফেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছে দে পরিবার৷ সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই কোনওক্রমে চলছে ঠাকুরপুকুরের ছোট্ট সংসার৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement