ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: এবার ট্রাফিক জরিমানা সম্পূর্ণ অনলাইন করার পথে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। জরিমানার টাকা হাতে না নিয়ে ই-ওয়ালেট অথবা অনলাইন ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে মেটানোর পরিকল্পনা করছে লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই এগিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। করোনা আবহে পুরো কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসাবে ‘ই চালান’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় কলকাতার পাঁচটি ট্রাফিক গার্ড এলাকায়। যদিও নেটওয়ার্কের কিছু সমস্যার জন্য স্থগিত হয় সেই পরিকল্পনা। যদিও ওই সময় অনলাইনে জরিমানার টাকা নিতে পারতেন না সার্জেন্টরা। তাই বিষয়টিকে আরও ভালভাবে কাজে লাগানোর জন্য আলোচনা চলাকালীন আসে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই বিষয়টির উপর এবার আরও গুরুত্ব দিচ্ছে লালবাজার।
পুলিশ জানিয়েছে, কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙলে, তা সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়লেই সাইটেশন কেস করা হয়। গাড়ির চালক বা মালিককে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি কী ধরনের ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন। আবার আইন ভেঙে ট্রাফিক পুলিশের হাতে সরাসরি ধরা পড়লে কম্পাউন্ড মামলা হয়। সেই ক্ষেত্রে মামলার নথিপত্র দেখা হয়। সরাসরি নেওয়া হয় জরিমানার টাকা। ফলে গাড়ি ও বাইক আরোহী বা চালকদের সংস্পর্শে সরাসরি আসতেই হয় ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকদের। তাতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি হয়। সংক্রমণ এড়াতে লালবাজারে কর্তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন ই-চালানের উপর।
এ ছাড়াও লালবাজারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ট্রাফিক সার্জেন্টদের হাতে থাকা স্মার্টফোনে হবে সমস্যার সমাধান। কেউ কোনও ট্রাফিক আইন ভাঙলে দূরত্ব মেনে নথিপত্র না ধরেই সেগুলি পরীক্ষা করা হবে। এরপর ট্রাফিক আধিকারিকরা তাঁদের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করা একটি বিশেষ অ্যাপের সাহায্য নেবেন। ওই অ্যাপে সার্জেন্টদের জানাতে হবে গাড়ির নম্বর, যে চালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তাঁর সম্পর্কে তথ্য, কোন ধারায় ট্রাফিক আইন ভাঙা হয়েছে, কোন জায়গায় ঘটেছে ঘটনাটি। ওই অভিযোগ গৃহীত হওয়ার পর তা পৌঁছে যাবে সার্ভারে।
অভিযুক্ত চালক বা গাড়ির মালিক সঙ্গে সঙ্গেই জরিমানা দিতে পারবেন। কিন্তু নগদ টাকার বদলে ই-ওয়ালেট অথবা তাঁর নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি অনলাইনে পুলিশের বিশেষ অ্যাকাউন্টে তিনি জমা দিতে পারবেন টাকা। কার্ড সোয়াইপ করার যন্ত্রও আধিকারিকদের হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তার বদলে পুলিশের পক্ষে তাঁকে দেওয়া হবে ই-চালান। ওই চালানে ব্যক্তির পরিচয়, গাড়ির নম্বর থেকে শুরু করে তিনি কত টাকা জরিমানা দিয়েছেন ও ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম নথিভুক্ত করা থাকবে। ক্রমে সারা দেশজুড়ে এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে অন্য রাজ্য বা শহরে বিশেষ গাড়িটির বিরুদ্ধে ট্রাফিক মামলা থাকলে তা সহজেই ধরা পড়ে যাবে অ্যাপটিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.