Advertisement
Advertisement
কলকাতা পুলিশ

মানবিক পুলিশ, নিখোঁজ শিশুকে মায়ের কাছে ফেরাল সার্জেন্ট

ঠাকুর দেখতে গিয়ে হারিয়ে যায় ৫ বছরের ওই শিশু।

Kolkata traffic police surgeon rescue a missing child
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 3, 2019 9:04 am
  • Updated:October 3, 2019 9:05 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থীর সকাল। পুজোর বাজার। তার ফাঁকেও খানিক ঠাকুরও দেখে নেওয়ার জন্য শহরের ইতি-উতি ভিড় জমিয়েছেন লোকেরা। হাওড়া থেকে আসা প্রতিমাদেবীরও পরিকল্পনা সেরকমই ছিল। তবে বাদ সাধল তাঁর খুদে ছেলের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। তবে, পুজোর শশব্যস্ততা, ট্রাফিক রক্ষনাবেক্ষণের পাশাপাশি এদিন মানবিকরূপ দেখা গেল পুলিশের।  

[আরও পড়ুন: এবার স্টেশনে প্লাস্টিক ব্যবহারে এক লক্ষ টাকা জরিমানা, ঘোষণা রেলের ]

প্রসঙ্গত, ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করেই হাওড়া থেকে নিজের দিদি ও পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে উত্তর কলকাতার বাগবাজারে এসেছিলেন গৃহবধূ প্রতিমা পাড়ুই। ভিড়ের মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যায় তাঁর পাঁচ বছরের শিশুটি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দুই সার্জেন্ট কৃষ্ণেন্দু দাস ও পলাশ মজুমদারের উদ্যোগেই হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ফিরে পেলেন মা। বাগবাজার  এলাকার দোকানদার ও পুজো উদ্যোক্তা জিজ্ঞাসা করেই শিশুকে খুঁজে পান ওই ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকরা। হাওড়ার আমতার বাসিন্দা প্রতিমা পাড়ুই তাঁর দিদি ও ছেলেকে নিয়ে বুধবার সকালেই বাগবাজারে আসেন। তাঁরা বাগবাজারের একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে জামাকাপড়ের দরদাম করছিলেন। পাশেই ছিল বছর পাঁচেকের মৃন্ময়। মা ও মাসি যখন কেনাকাটায় ব্যস্ত, তখন ভিড়ের মধ্যেই হারিয়ে যায় শিশুটি। হঠাৎই প্রতিমা দেখেন, তাঁর ছেলে ধারে-কাছে কোথাও নেই। ব্যস্ত দোকানদাররাও কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে কি তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে ছেলেধরা? এমনটাই সন্দেহপ্রকাশ করেছিলেন প্রতিমাদেবী এবং তাঁর দিদি। ছেলের নাম ধরে ডাকার পরও কোনও সাড়া নেই। রাস্তার উপর চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন মা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাস্তার পাশে অসুস্থ তরুণী, নজর পড়তেই গাড়ি থামিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ]

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে তখন ডিউটি করছিলেন শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট কৃষ্ণেন্দু দাস ও হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট পলাশ মজুমদার। ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের কাছে ছেলেটির কোনও ছবি ছিল না। শুধু তার পরনে হলুদ জামা ও নীল প্যান্টের বিবরণই দিতে পেরেছিলেন দুই মহিলা। তাঁদের শান্ত হতে বলে দুই অফিসারই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দুই মহিলাকে দু’টি বাইকে বসিয়ে সার্জেন্টরা খোঁজ করতে থাকেন। স্থানীয় কয়েকজন জানান, তাঁরা ছেলেটিকে হেঁটে যেতে দেখেছেন। এরপর গিরিশ অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ির কাছে ছেলেটিকে কাঁদতে দেখা যায়। মা সার্জেন্টের বাইক থেকে নেমে ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন। মা ও মাসির হাতে শিশুটিকে তুলে দেন পুলিশ অফিসাররা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement