অর্ণব আইচ: ষষ্ঠ দফার ভোট সামলাতে জেলায় যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে বড় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশও। যাতে শহরে ট্রাফিকের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নিল ট্রাফিক পুলিশ।
লালবাজার জানিয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম দফা পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের বাহিনীকে অন্য কোনও জেলায় গিয়ে ভোটের ডিউটি করতে হয়নি। কিন্তু ষষ্ঠ দফার ভোটে জেলায় রওনা হতে হচ্ছে কলকাতা পুলিশকে। বৃহস্পতিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, তমলুকের মতো কয়েকটি জায়গায় যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের প্রায় দু’হাজার বাহিনী। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে যাচ্ছেন অফিসাররাও। পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী, ট্রাফিক পুলিশ ও রিজার্ভ ফোর্স থেকেই মূলত পূর্ব মেদিনীপুরে পাঠানো হচ্ছে। লালবাজার জানিয়েছে, ট্রাফিক বিভাগ থেকে যাচ্ছেন প্রায় সাড়ে সাতশো পুলিশকর্মী। প্রত্যেক ট্রাফিক গার্ড থেকেই যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। যে ট্রাফিক গার্ডগুলিতে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বেশি রয়েছে, সেই গার্ডগুলি থেকেই বেশি সংখ্যক পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়াও ট্রাফিকের অন্য কয়েকটি শাখা থেকেও ভোটের ডিউটিতে যাচ্ছেন পুলিশকর্মী। ট্রাফিক পুলিশের অভাবে যাতে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা কোনওভাবেই ভেঙে না পড়ে, সেই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিকের এক কর্তা জানান, এর আগে এমনও হয়েছে, ট্রাফিক গার্ড থেকে বেশিরভাগ পুলিশকর্মী গিয়েছেন ভোটের ডিউটিতে, সেই ক্ষেত্রে কয়েকদিনের জন্য পুরোপুরি ট্রাফিক সামলেছে হোমগার্ড ও গ্রিন পুলিশ। তখনও দেখা গিয়েছে, কতটা দক্ষতার সঙ্গে ট্রাফিক সামলান তাঁরা। লালবাজারের কর্তাদের মতে, যে ট্রাফিক গার্ডগুলি থেকে বেশি সংখ্যক পুলিশকর্মী পূর্ব মেদিনীপুরে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে, এবারও সেই গার্ডগুলিতে হোমগার্ড ও গ্রিন পুলিশকর্মীদেরই বলা হয়েছে যে, তাঁদেরই দক্ষতার সঙ্গে এলাকার ট্রাফিক সামলাতে হবে। ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তাঁদের উৎসাহও জোগাচ্ছেন। ট্রাফিক সার্জেন্টরা তাঁদের সাহায্য করছেন। ডিউটির সময় সার্জেন্টরা নজর রাখছেন, কারও কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না।
ট্রাফিক সিগন্যালগুলি যাতে সচল থাকে, সেই বিষয়েও রয়েছে পুলিশের নজর। কারণ, সিগন্যালে সমস্যা না থাকলে শহরের ট্রাফিক সচল রাখতে সুবিধা হয়। কোনও বাইক বা গাড়ি ট্রাফিক আইন ভাঙলে প্রাথমিকভাবে হোমগার্ড বা গ্রিন পুলিশই এগিয়ে যাবে। এর পর আইনি ব্যবস্থা নেবেন সার্জেন্টরা। এদিকে, ভোটের ডিউটিতে যে পুলিশকর্মীরা যাচ্ছেন, তাঁদের যাতে গরমে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়ে আধিকারিকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কলকাতা থেকে পুলিশকর্তারাও যোগাযোগ রাখছেন। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তাঁদের নিজেদের রাঁধুনিও যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যাতে খাওয়াদাওয়ার কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। জেলায় ভোটের ডিউটি সেরে আসার পর কলকাতায় ডিউটি করতে হবে ওই পুলিশকর্মীদের। তাই যাতে তাঁরা সুস্থ থাকেন, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.