Advertisement
Advertisement

পান-সিগারেটের দোকানে বিস্কুট-পানীয় বিক্রিতে না, প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা

শুধু পান-সিগারেট বিক্রি করে সংসার চালানো অসম্ভব, দাবি ব্যবসায়ীদের।

Kolkata Traders protest ban on paan shops selling consumer goods
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 1, 2017 4:58 am
  • Updated:November 1, 2017 4:59 am  

স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তার পাশে বসা পান, সিগারেটের দোকানে বিস্কুট, চিপস, নানারকম ভাজাভুজি বা জলের বোতল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা ঘিরে বিতর্ক। এমনকী ঠান্ডা পানীয় বিক্রিতেও আপত্তি কেন্দ্রীয় সরকারের। যুক্তি, এতে স্কুল ছাত্রছাত্রী, কিশোরদের তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু কোনও পান, সিগারেটের দোকানকে বিস্কুট, চকোলেট, ঠান্ডা পানীয়ের পসরা ছাড়া কতটা লাভজনক করে তোলা সম্ভব? ফলে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দালনে নামল পশ্চিমবঙ্গ পান এবং তামাক বিক্রেতা সমিতি।

[মিলনমেলা প্রাঙ্গণ থেকে সরছে কলকাতা বইমেলা, যাচ্ছে এই জায়গায়]

Advertisement

মঙ্গলবার কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন তাঁরা। সংগঠনের সম্পাদক মলয় বিশ্বাস, সদস্য নবকুমার ধর বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্ত লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর পরিবারকে পথে বসাবে। শুধু পান, সিগারেট, তামাকজাত পণ্য বিক্রি করে সংসার চালানো অসম্ভব। সঙ্গে বিস্কুট, চকোলেট, চিপস, কোল্ডড্রিংকস, জলের বোতল-সহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করা হয় বলেই মোটামুটি লাভের মুখ দেখা যায়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে আরও বড় আন্দালন হবে।” রাজ্যে প্রায় চার লক্ষ এই ধরনের ব্যবসায়ী রয়েছেন। সকলেই কম পুঁজির ব্যবসা করেন। লাভও উল্লেখযোগ্য নয়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, পান ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের অন্য কোনও পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া চলবে না। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি হল, স্কুলের ছেলেমেয়েরা বিস্কুট, চকোলেট, ঠান্ডা পানীয় কিনতে গিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এমনিতেই অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তা বিক্রি অবৈধ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পান, সিগারেট, গুটখার দোকানে অন্যান্য খাবার বা পানীয় বিক্রিতে আপত্তি আছে সরকারের। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় রয়েছে। বিস্কুট বা ভাজাভুজির উপর যে জিএসটি চালু হয়েছে তা সাধারণ পান দোকানের কাছ থেকে পাওয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা।

তবে পান ব্যবসায়ী এবং তামাক বিক্রেতা সমিতির দাবি, সরকারের এই যুক্তি ধোপে টেকে না। প্রথমত, কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ককে জেনেশুনে তামাকজাত কোনও দ্রব্য কেউ বিক্রি করেন না। সারাদিনে শুধু পান ও সিগারেট বিক্রি করে একজনের জীবিকা নির্বাহ করাও কষ্টকল্পনা মাত্র। যেখানে একটি দোকানের উপর পুরো পরিবার নির্ভরশীল। পড়াশোনা থেকে চিকিৎসার খরচ তোলা অসম্ভব। বিস্কুট, ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটবন্দি বিভিন্ন ভাজাভুজি বিক্রি হয় বলেই লাভের মুখ দেখা যায়। তা না হলে দোকানে সারাদিন কতজন ক্রেতা আসবেন? বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেই গড় আয় হয়। তা ছাড়া, অসংগঠিত এই ক্ষেত্রের পক্ষে জিএসটি দেওয় কখনও সম্ভব নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে।

[‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ, স্বীকার করুন মুখ্যমন্ত্রী’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement