সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘন কুয়াশার দাপট। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়ল না গঙ্গাসাগরগামী লঞ্চ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কচুবেড়িয়ার ৮ নম্বর লটেও লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবা বন্ধ। তার ফলে বাবুঘাট থেকেও ছাড়ছে না একটিও বাস। স্বাভাবিকভাবেই মহাবিপাকে গঙ্গাসাগরমুখী অগণিত পুণ্যার্থী। বিকল্প পথে কীভাবে পুণ্যার্থীরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
কেউ এসেছেন বেনারস আবার কেউ এসেছেন বিহার থেকে। গন্তব্য গঙ্গাসাগর মেলা। অনলাইনে একটি বেসরকারি জলযানের টিকিটও বুক করেন তাঁরা। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে শনিবার সকালে ক্রুজ ছাড়ার কথা ছিল। এদিন নির্দিষ্ট সময় মিলেনিয়াম পার্কের কাছে জেটি ঘাটে উপস্থিত হন কমপক্ষে ২২১ জন তীর্থযাত্রী। তবে ঘন কুয়াশার জেরে বন্ধ ভেসেল পরিষেবা। ভেসেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘন কুয়াশার চাদরে ক্রুজ চালানো সম্ভব হয়নি। তাই বিকল্প পথে গাড়িতে গঙ্গাসাগর যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। ২০ জন পুণ্যার্থী গাড়িতে চড়ে গঙ্গাসাগরের পথে রওনা হন। তবে বাকিরা ক্রুজে চড়ে গঙ্গাসাগর পৌঁছনোর বিষয়ে এককাট্টা। তাই তাঁরা এখনও পর্যন্ত গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারেননি। তাঁদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত ওই বেসরকারি জলযান কর্তৃপক্ষের।
এদিকে, শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে কচুবেড়িয়ার লট নম্বর ৮ থেকে বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা। কুয়াশার দাপটে এখনও স্বাভাবিক করা যায়নি পরিস্থিতি। তার ফলে ক্রমশ সেখানে বাড়ছে পুণ্যার্থীর ভিড়। তাই আপাতত বাবুঘাট থেকে বাস পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। সিএসটিসি, সিটিসি, এসবিএসটিসির প্রায় ৪০-৫০টি বাস এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডে। প্রশাসনের সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত বাস ছাড়বে না বলেই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আদৌ কখন বাস ছাড়বে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনও কিছুই জানা যায়নি। আদৌ গঙ্গাসাগরে গিয়ে পুণ্যস্নানের লক্ষ্যপূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে পুণ্যার্থীরা।
শনিবার সন্ধেয় শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির স্নান। ইতিমধ্যেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ। শুক্রবার সন্ধেয় গঙ্গাসাগরে পৌঁছন মন্ত্রী পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুজিত বোস। এছাড়াও রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.