Advertisement
Advertisement
হেদুয়া

মেজাজ হারিয়ে সপাটে চড় সাঁতার প্রশিক্ষকের, চোখ হারাতে বসেছে পড়ুয়া

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বটতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পড়ুয়ার অভিভাবকরা।

Kolkata swimming trainer thrashes student damaging eye on saturday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 18, 2020 3:03 pm
  • Updated:February 18, 2020 5:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাঁতার প্রশিক্ষকের মারে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নবম শ্রেণির পড়ুয়ার চোখ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে ওই পড়ুয়া। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বটতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই পড়ুয়ার অভিভবকরা।

কলকাতার হাতিবাগান এলাকার বাসিন্দা অপরাজয় বোস নামে ওই ছাত্র। হেদুয়া এলাকায় এক শিক্ষকের কাছে সাঁতার শিখত সে। জানা গিয়েছে, সামনেই পরীক্ষা থাকার কারণে মাঝে কয়েকদিন সাঁতার ক্লাসে যায়নি অপরাজয়। দীর্ঘদিন পর গত শনিবার ফের সাঁতার প্রশিক্ষণের কাছে যায়। পড়ুয়ার কথায়, “শনিবার ক্লাসে যাওয়ার পরই স্যার জিজ্ঞেস করে, কেন আমার ম্যাটটি নোংরা। পরিস্কার করে নেব বলে জানাই স্যারকে। কিন্তু তিনি কিছুই শোনেননি। আচমকা আমাকে চড় মারতে শুরু করে।” অভিযোগ, লাগাতার মারের জেরে বমি করতে শুরু করে অপরাজয়। শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা। এই পরিস্থিতিতেই বাড়ি ফিরে যায় সে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পোলবা কাণ্ডের পরেও ফেরেনি হুঁশ, মদ্যপ অবস্থায় উল্টোডাঙায় ধৃত পুলকার চালক ]

জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া বাড়ি যাওয়ার পর থেকেই তার কান থেকে এক প্রকার তরল পদার্থ বের হতে শুরু করে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে দফায় দফায় শারীরিক পরীক্ষা ও সিটি স্ক্যান করা হয় অপরাজয়ের। এরপর চিকিৎসকেরা জানান যে, তার একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আড়াই মাস তাকে নিয়মিত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না এলে আরও বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত আশঙ্কা চিকিৎসকদের। গোটা ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পড়ুয়ার মা মিতাদেবী। শিক্ষকের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, অভিযুক্তের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এবিষয়ে একাধিকবার অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

[আরও পড়ুন: কাটমানি না পেয়ে কন্যাশ্রীর জন্য দরকারি নথি দিতে অস্বীকার, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাধান ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement