Advertisement
Advertisement
জিডি বিড়লা

আত্মহত্যার সঙ্গে ওয়েব সিরিজের মিল! জি ডি বিড়লার ছাত্রীমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে মানসিক অবসাদ স্পষ্ট৷

Kolkata student's alleged suicide at school premises
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 22, 2019 3:21 pm
  • Updated:June 22, 2019 5:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতের শিরা কেটে এবং শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় আত্মঘাতী জি ডি বিড়লা স্কুলের কৃতী ছাত্রী কৃত্তিকা৷ মৃত্যুর জন্য কিশোরীর সাজানো ‘প্ল্যান এ’ হাতের শিরা কাটা  এবং ‘প্ল্যান বি’ প্লাস্টিকের সাহায্যে শ্বাসরুদ্ধ হওয়া ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ অবসর পেলেই দিনের বেশিরভাগ সময় ওয়েব সিরিজ দেখত কৃত্তিকা৷ এদিকে, আবার কৃত্তিকার আত্মহত্যার ধরন এবং সদ্য সম্প্রচারিত এক ওয়েব সিরিজের যথেষ্ট মিল রয়েছে৷ তাই পুলিশের ধারণা, হয়তো ওয়েব সিরিজ দেখে আত্মহত্যার পথ খুঁজে পেয়েছিল কৃত্তিকা৷

[ আরও পড়ুন: মৃত্যুর ৫ বছর পর ঘুচল ‘মাওবাদী’ তকমা, হাই কোর্টে বেকসুর খালাস সুশীল]

প্রাথমিক তদন্তে সুইসাইড নোট পড়ে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শহরের নামজাদা স্কুলের কৃতী ছাত্রী৷ কিন্তু মাত্র ষোলো বছরের কৃত্তিকা কীভাবে এমন ফন্দি আঁটল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ হাতের শিরা কাটা এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্লাস্টিকের সাহায্যে শ্বাসরোধকে বেছে নিয়েছিল কৃত্তিকা৷ অনেকেই বলছেন, কৃতী ছাত্রীর আত্মহত্যার পদ্ধতির সঙ্গে একটি ওয়েব সিরিজের মিল রয়েছে৷ অবসরযাপনের সময় কৃত্তিকা ওয়েব সিরিজ দেখত৷ ওই ওয়েব সিরিজ দেখেই হয়তো এভাবে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলেই ধারণা পুলিশের৷ সেন্সর বোর্ডের কড়াকড়ির জেরে সিনেমায় এমন দৃশ্য দেখানো সম্ভব হয় না, যা সমাজের উপর প্রভাব ফেলবে৷ কিন্তু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ডের কাঁচি চালানোর সুযোগ নেই৷ ফলে সেখানে অবাধ যৌনতার পাশাপাশি হিংসাত্মক ঘটনা দেখাতে কোনও সমস্যা হয় না৷ আর এসব দৃশ্যের কুপ্রভাবের জ্বলন্ত উদাহরণ কৃত্তিকা৷

Advertisement

শুক্রবার রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলের শৌচালয় থেকে হাতের শিরা কাটা অবস্থায় ছাত্রী কৃত্তিকা উদ্ধার করা হয়৷ সেই সময় মুখে বাঁধা ছিল প্লাস্টিক৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকরা জানান মারা গিয়েছে কৃতী ছাত্রী৷ পুলিশ উদ্ধার করে তিন পাতার সুইসাইড নোট৷ পুলিশসূত্রে খবর, দীর্ঘ ওই সুইসাইড নোট লেখা ছিল চোস্ত ইংরাজি ভাষায়৷ প্রতিটি ছত্রে হতাশা, মানসিক অবসাদের কথা তুলে ধরেছিল কৃত্তিকা৷ বাবা-মার সঙ্গে কৃত্তিকার সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল বলেও সুইসাইড নোটে লিখেছে ছাত্রী৷ সুইসাইড নোটে কৃত্তিকা উল্লেখ করেছে, ‘এটাকে যদি তোমাদের আত্মহত্যা বলে ভাবতে কষ্ট হয়, তবে খুন ভেবে নাও৷’

[ আরও পড়ুন: সাতদিন আগেই আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছিল ছাত্রী, জি ডি বিড়লা কাণ্ডে নয়া তথ্য]

শুধু মৃত্যুই নয়, শেষকৃত্যর প্রসঙ্গও লিখে গিয়েছে সে৷ এক্কেবারে অনাড়ম্বর শেষকৃত্যই যে তার পছন্দ, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে স্কুলছাত্রী৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই কৃত্তিকার কললিস্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে৷ তার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের দিকেও নজর রাখা হয়েছে৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement