অর্ণব আইচ: ভবানীপুরের পদ্মপুকুর রোডের ফুটপাথে শুয়ে ছিলেন বৃদ্ধা। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিল তাঁর। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল, তাঁকে দেখার কেউ নেই। অসুস্থ ওই বৃদ্ধার পাশে এসে দাঁড়ান দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর থানার পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভরতি করেন।
ভবানীপুর থানার ওসি সুমিত দাশগুপ্তর নির্দেশে পুলিশ আধিকারিকরা কোচবিহারে তাঁর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভবানীপুর থানার পুলিশের উদ্যোগ ও সহযোগিতায় এক বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ নভেম্বর টহল দেওয়ার সময় ভবানীপুর থানার পুলিশকর্মীরা দেখেন, ফুটপাথের উপর শুয়ে এক বৃদ্ধা জ্বরে কাঁপছেন। চলার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। পুলিশের পক্ষে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর থেকে পুলিশ আধিকারিকরা পালা করে প্রত্যেকদিন দু’বেলা আত্মীয়দের মতোই তাঁকে দেখতে যেতেন। তাঁর সঙ্গে কথাও বলার চেষ্টা করে পুলিশ। প্রথমে বৃদ্ধা কিছুই বলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি এইটুকু বলতে পারেন যে, তাঁর বাড়ি কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। সেই সূত্র ধরে পুলিশ কোতোয়ালি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বৃদ্ধার ছবিও পাঠায়।
জেলা পুলিশের কাছ থেকে ভবানীপুর থানার আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, বৃদ্ধার নাম আরতি রায়। কোচবিহারে তাঁর বাড়ি থেকে এক বছর আগে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর ছেলে সুশান্ত রায় কোতোয়ালি থানায় মিসিং ডায়েরিও করেন। কোনওভাবে ট্রেনে উঠে বৃদ্ধা চলে এসেছিলেন কলকাতায়। ভবানীপুর থানার পুলিশ সুশান্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি পরিবার নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। এর মধ্যে বৃদ্ধা সুস্থও হয়ে গিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভবানীপুর থানায় পুলিশ বৃদ্ধাকে নিয়ে আসে। বৃদ্ধা মাকে খুঁজে পেয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান ছেলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.