Advertisement
Advertisement
CBI

গরু পাচার কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে কলকাতার রেস্তরাঁ, কফি শপ

ওই জায়গাগুলিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাচারকারীদের।

Kolkata restaurants, coffee shops under CBI scanner in cattle smuggling case | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 26, 2020 8:25 am
  • Updated:September 26, 2020 12:20 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: গরু পাচার কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে কলকাতার বেশ কিছু রেস্তরাঁ ও কফি শপ। সেখানে বসেই পাচারের টাকা লেনদেনের পাশাপাশি পাচারের ছক তৈরি হত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা।

[আরও পড়ুন: এই জন্যই মা ঈশ্বরের রূপ, জন্মদাত্রীর লিভারে পুর্নজন্ম কলকাতার একরত্তির]

সূত্রের খবর, মধ্য কলকাতার বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁর সঙ্গে কয়েকটি কফি শপের নাম উঠে এসেছে সিবিআই তদন্তে। যেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল গরু পাচারের কিংপিন মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হক, আনারুল শেখ ও লিংকম্যান মহম্মদ মোস্তাকের। এছাড়া, উত্তরপ্রদেশের মানুষজনের যাতায়াত ছিল গরু পাচার ঘিরে। চার শুল্ক আধিকারিক-সহ সাত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকের যোগাযোগের বহু তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তাঁদের বেশ কিছু সম্পত্তি সিল করাও হয়েছে। এবার গরু পাচারে যুক্তদের গোপন যোগাযোগ স্থল কলকাতার রেস্তরাঁ ও কফিশপের তথ্য তদন্তকারী দলের হাতে আসায় রেস্তরাঁ মালিক ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাবে সিবিআই। টাকার নম্বর বলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হাওলার টাকা বিনিময়ে এই পাচারের কাজ চলে জোরদার ভাবে। গরু পাচার চক্রের বিস্তৃতি ও প্রভাব রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে এমনকি বিদেশেও সক্রিয় থাকায় বহু প্রভাবশালীরা এর সঙ্গে যুক্ত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

এদিকে, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গরু পাচার চক্রের মাথা এনামুল হকের যোগাযোগ আরও অনেক স্পষ্ট হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, সতীশ কুমারের মুর্শিদাবাদে একটি বাড়ি আছে, যেটি এনামুল বানিয়ে দিয়েছে। তাঁর ছেলেকে চাকরিও দিয়েছিলেন এনামুল। সঙ্গে দামি গাড়ি উপহার। ফলে নির্বিঘ্নেই চলছিল গরু পাচার। কিন্তু সতীশকে উত্তরবঙ্গে বদলি করার পর থেকেই ধীরে ধীরে রাশ টানা শুরু হয় গরু পাচারের উপর।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে রীতিমতো কেঁচো খুড়তে কেউটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ-এর (BSF) একাংশ অফিসার বা জওয়ানের জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গোরুর বদলে কাঁটাতার টপকে সীমান্তের অপর দিক থেকে আসে অস্ত্র। আর সেগুলি চলে যায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে। শুধু তাই নয়, রমরমিয়ে চলে হাওলা বা হুন্ডি ব্যবসা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তার প্রমাণও পেয়েছেন।

[আরও পড়ুন: চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি! জীবনে প্রথমবার জেলে গিয়ে আসামী শনাক্ত করলেন মিমি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement